নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট আঞ্চলিক বাস টার্মিনাল সংস্কার এবং টার্মিনাল পরিত্যক্ত করার স্বার্থন্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আজ ২৫ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল-শাহ আমানত সেতু হয়ে চট্টগ্রাম হতে কক্সবাজার বান্দরবান জেলা সহ দক্ষিণ চট্টগ্রাম এবং বিভিন্ন উপজেলা অভিমুখী বাস মিনিবাস চেয়ার কোচ চলাচল বন্ধ রেখে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালে সংশ্লিষ্ট ৫টি শ্রমিক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ এর সদস্য সচিব অলি আহামদ এর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন পূর্বাঞ্চল কমিটির (চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) সভাপতি ও বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা বাবু মৃণাল চৌধুরী।

প্রধান বক্তা ছিলেন, আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুছা।
প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৃণাল চৌধুরী বলেন, বহদ্দারহাট আঞ্চলিক বাস টার্মিনাল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং উদাসীনতার কারণে বহুমুখী সমস্যায় নিমজ্জিত হয়ে বর্তমানে ব্যবহারের অনুপযোগী পড়েছে। এ কারণে শ্রমিক যাত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলেই প্রতিদিন প্রতিনিয়ত সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুত বাস টার্মিনাল সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ না করলে পরিবহন বন্ধ সহ কঠোর কর্মসূচী গ্রহন করা হবে।
প্রধান বক্তা আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুছা বলেন, বাস টার্মিনাল সংস্কারের জন্য সিডিএ কে আমরা বার বার তাগাদা দেওয়ার পরও তারা নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। ফলে আমাদের পিট এখন দেওয়ালে ঠেকে গেছে, ফলে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল ক্ষত-বিক্ষত অবস্থা বিরাজ করছে। একটু বৃষ্টি হলেই হাটু পরিমাণ পানি জমে গিয়ে পুকুরসম গর্তে পড়ে গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশের ক্ষয়ক্ষতি হওয়া সহ গাড়ি দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে প্রতিদিন। এতে পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
মোহাম্মদ মুছা বলেন, ইজারাদার নিয়মিত ইজারার টাকা আদায় করা সত্ত্বেও টার্মিনালে কোন আলোর ব্যবস্থা করেনি, পাহারাদার নেই, সিসি ক্যামেরা বসানো হয়নি, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থাও নেই। টার্মিনালের একমাত্র পুলিশ ফাঁড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ কারণে বর্তমানে বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ, মাদক সেবনসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বাস টার্মিনালের সংস্কারসহ বিদ্যমান নানা সমস্যা আগামী ৭ জুনের মধ্যে নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে আগামী ৮ জুন ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, টেকনাফ, বান্দরবানে পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে আমরা বাধ্য হবো।
মোহাম্মদ মুছা আরো বলেন, একটি স্বার্থন্বেষী চিহ্নিত মহল টার্মিনাল ও সড়কের শৃঙ্খলা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। তাদের স্বার্থে আঘাত আসলেই তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করে। তাই সময় থাকতে সতর্ক না হলে তাদের দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়ার জন্য আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম ও আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন এর অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াছিন এর যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন বাস মিনিবাস ওয়ার্কাস ইউনিয়ন (কাপ্তাই) এর সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, বাস টার্মিনাল শ্রমিক কমিটির সম্পাদক ও চট্টগ্রাম পশ্চিম পটিয়া আনোয়ারা বাঁশখালী সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাহিন, চট্টগ্রাম পটিয়া আনোয়ারা বাঁশখালী সাতকানিয়া চকরিয়া সড়ক পরিবহন যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হোসেন, চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল শ্রমিক পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: নুরুল কবির, বান্দরবান কেরানীহাট চট্টগ্রাম শৈলশোভা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাজেদুল ইসলাম মুন্সি সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন বাস মিনিবাস ওয়ার্কাস ইউনিয়ন (কাপ্তাই), চট্টগ্রাম পশ্চিম পটিয়া আনোয়ারা বাঁশখালী সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম পটিয়া আনোয়ারা বাঁশখালী সাতকানিয়া চকরিয়া সড়ক পরিবহন যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়ন ও বান্দরবান কেরানীহাট চট্টগ্রাম শৈলশোভা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।