মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩ ০৩:৪৪ এএম
প্রফেসর মিঞা মো. ইউসুপ চৌধুরী: করোনা পরবর্তী বৈশ্বিক মন্দা, বিশ্বব্যাপী চরম মুদ্রাস্ফীতি এবং পরবর্তীতে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারনে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। আমরা সবাই জানি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমানের উপর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অনেকাংশে নির্ভরশীল। বিশেষ করে আমাদের মত দেশে যেখানে রপ্তানির চেয়ে আমদানি বাণিজ্যের পরিমান সবচেয়ে বেশী সেখানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমানকে অর্থনীতির অন্যতম নিয়ামক হিসাবে মনে করা হয়।
গতকাল ৯ মে ২০২৩ তারিখে দেশের জনপ্রিয় সকল দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদ থেকে জানা যায় এশিয়ান ক্লিয়ারিং
ইউনিয়নের ( আকু ) বিল পরিশোধ করায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে আরও ১১৮ কোটি ডলার বা ১.১৮ বিলিয়ন ডলার কমেছে। এতে রিজার্ভ কমে দাড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে যা গত সাত বছরে সর্বনিন্ম পর্যায়ে। কিন্তু আইএমএফ এর মানদন্ড অনুযায়ী ব্যবহার যোগ্য রিজার্ভের পরিমান আরও ৬.৪ বিলিয়ন কম হবে। সেটা বিবেচনা করলে এখন বাংলাদেশের ব্যবহার যোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হবে ২৩.৩৭ বিলিয়ন ডলার।২০২১ সালের আগষ্ট মাসে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথম বারের মত ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল। কিন্তু এর আগে সর্বপ্রথম দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০১৬ সালের এপ্রিলে প্রথম বারের মত ২৯ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল। বর্তমানে করোনা পরবর্তী বৈশ্বিক মন্দা , ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে বেশীর ভাগ জিনিষ পত্রের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ার কারনে রিজার্ভের পরিমান ধারাবাহিক ভাবে কমছে।
সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলংকা নিজেদেরকে দেওলিয়া ঘোষনা করার পর অনেকে আশংকা প্রকাশ করেছিল আগামী কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থাও শ্রীলংকার মত হবে। কিন্তু বাস্তবে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কারনে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল পর্যায়ে আছে। বিশেষ করে নানা ভাবে আমদানি ব্যয় কমানোর মাধ্যমে , রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানো এবং আইএমএফ এর লোনপ্রাপ্তিসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহনের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখনও সহনীয় পর্যায়ে আছে।
আমরা সবাই জানি একটা দেশের তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য রিজার্ভ থাকলে সেটাকে আদর্শ মান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশে এখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যে পর্যায়ে আছে সেটা দিয়ে অন্তত ৪ মাসের আমদানি ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব। সে হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বর্তমান স্তরেও আমাদের আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।
বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দা ও ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতির প্রেক্ষাপটে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে স্বস্তি ফেরাতে আমদানি ব্যয় কমানোর ( প্রয়োজনে বিলাসবহুল পন্য আমদানি বন্ধ করা ) পাশাপাশি রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর বিষয়ে কার্যকর ও ফলপ্রসু পদক্ষেপ সরকারের পক্ষ থেকে গ্রহন করা হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ডলার সংকট কেটে যাবে বলে মনে করছে সচেতন নাগরিক মহল ও অর্থনীতিবিদরা। লেখক : অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ, চট্টগ্রাম সেনানিবাস, চট্টগ্রাম।
সাবস্ক্রাইব ইউটিউব চ্যানেল
লাইক ফেইসবুক পেইজ
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অগ... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: এ কথা আজ সর্বজন স্বীকৃত যে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন রপ্তানির উপর নির্ভরশীল। আর ... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। পলিথিন, শপিং ব্যাগ বা পলিইথাই... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নব-নিযুক্ত চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল মোহাম্মদ সো... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি কর্তৃক আগ্রাবাদস্থ ওয়ার্ল্ড ট্... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ৯ টাকা বাড়িয়ে ১৭৬ টাকা করা হয়েছে। আগে প্রতি লিটার খোলা স... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: ই-সিগারেট ও ভেপিং ব্যবহার উৎসাহিত করতে এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন প্রক্রি... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: গতকাল রোববার (২৮ মে) বিকেলে লালদিঘী মাঠে জামায়াত-বিএনপির অরাজকতা ও নাশকতার বিরু... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন,বাংলাদেশে কোন গণতান্ত্রিক স... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সরকারের দমন-পীড়নে... বিস্তারিত