নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, স্বাধীনতা একক কোন ব্যক্তির ধারা সংঘটিত হয়নি। কারো অবদান অস্বীকার করে শুধু একজন ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠা করার অপচেষ্টা ইতিহাসের ভয়াবহ বিকৃতি। সরকারকে বিকৃত ইতিহাসের বয়ান থেকে অবশ্যই সরে আসতে হবে। এ সরকারের আমলে অসংখ্য সাংবাদিক ভাইয়ের ওপর নির্যাতন চলছে, প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে আটক, সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা, সাংবাদিক হত্যা, অনেককে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা শুধু বিএনপির লোকেরা নই, সাধারণ মানুষও বাদ যাচ্ছে না। নওগাঁর একজন মহিলা তিনি সরকারি কর্মচারী, কী কারণে তাকে র‌্যাব

তুলে নিয়ে গেল এখন পর্যন্ত জানা যায়নি এবং তুলে নিয়ে যাওয়ার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে নির্যাতনে তিনি মৃত্যুবরণ করল, তাকে মেরে ফেলা হলো। এখন তারা বলছে যে, এটা ভুল হয়েছে। 

গতকাল ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

তিনি আরো বলেন, আজ থেকে বায়ান্ন বছর আগে ১৯৭১ এর ২৬ মার্চ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েও আপনারা অনেক কথা শুনছেন, আওয়ামীলীগ তো পারছে না জোর করে ৭ মার্চকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিবস পালন করতে। 

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই। তাই সবাইকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে। মামলা দিয়ে এ সরকার জনগণকে হয়রাণী করছে। সুলতানা জেসমিনের আটকের বিষয়টাই আইনের বড় ধরনের ব্যত্যয়। ঘটনাটি পরম্পরায় সাজালে যে কেউ বুঝতে পারবেন যে তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলাটি সাজানো। শুধু সুলতানা জেসমিন নন, এর আগেও লিমনসহ বিভিন্ন ঘটনায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে ঘটনা আড়াল করার যে চেষ্টা, তাতে শুধু ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, পুরো বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিভিন্ন প্রশ্ন তোলার সুযোগ করে দিচ্ছে। 

এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম সেলিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, তিনি বলেন  সত্য প্রকাশ করতে পারবেন না। সত্য বলার কারণে প্রথম আলোর সাংবাদিকদকে জেলে যেতে হয়েছে। গণতন্ত্রের নামে সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। ডাক্তার খুরশিদ জামিল চৌধুরী বলেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে মানুষের কণ্ঠরোধের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে।  প্রকৌশলী মানজারে রশিদ বলেন, দেশে আজ কোন স্থিতিশীলতা নেই, দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, তা বলতে পারবেন না। সাংবাদিক মোঃ শাহনওয়াজ বলেন, ভাত দেয় না হয় মানচিত্র খাবো, সেই অবস্থার মধ্যে এসে দাঁড়িয়েছে দেশ। ডাক্তার জসিম উদ্দিন বলেন, মৌলিক অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার আজ এসব কিছু বলতে গেলে কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। বক্তব্য রাখার ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, ডাক্তার ইশা চৌধুরী, ডা. মোনায়েম ফরহাদ, এডভোকেট মফিজুর রহমান ভূঁইয়া, আতিকুজ্জামান বিল্লাহ, সাবেক ছাত্রনেতা জমির উদ্দিন নাহিদ।

উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার মোনায়েম ফরহাদ, রোটারিয়ান জসীম উদ্দীন, ডাক্তার তমিজ উদ্দিন মানিক, ডাক্তার বেলায়েত হোসেন ঢালি, এডভোকেট জালালুদ্দিন পারভেজ, মহিলা নেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি, এডভোকেট তৌহিদুল আলম, এডভোকেট আয়শা আক্তার মিতু, এডভোকেট আসমা খাতুন, ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার সুমন, ইঞ্জিনিয়ার ওসমান গনি প্রমূখ। বক্তারা অবিলম্বে গণমাধ্যম কর্মীদের দায়ের করা সকল মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানান।