মুক্তিযোদ্ধা পরিবার নিয়ে কটুক্তি, পরিবেশ অধিদপ্তরের ঘুষ দাবি!

newsgarden24.com    ০৮:২৯ পিএম, ২০২৩-০২-১৯    347


মুক্তিযোদ্ধা পরিবার নিয়ে কটুক্তি, পরিবেশ অধিদপ্তরের ঘুষ দাবি!

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাষ কর্তৃক দু’লাখ টাকা ঘুষ দাবি ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে আজ ১৯ ফেব্রুয়ারী (রবিবার) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে চিটাগং খুলশী ক্লাব লিমিটেডের ফাউন্ডার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রফিক উদ্দিন বাবুল ভুঁইয়া। 
লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ রফিক উদ্দিন বাবুল ভুঁইয়া জানান, গত ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সকাল আনুমানিক ১২.২৮ ঘটিকার সময় চিটাগং খুলশী লিমিটেডে অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা ঘটে গেছে। ঘটনার বিবরণের আগে আপনাদের অবহিত করতে চাই যে, চিটাগং খুলশী লিমিটেড রেজিষ্ট্রার্ড

বায়নানামা সম্পাদনকৃত জমির সীমানা নির্ধারণ, সীমানা বাউন্ডারি ঘেঁষে দুই ফিটের মধ্যে গাছ ও ফুলের বাগান চাষ, সৌন্দর্য বর্ধন, চার ফিট চওড়া করে সদস্যগণর জন্য ওয়াকওয়ে, সুইমিংপুল, রেষ্টুরেন্ট, বার কটেজ/ রিসোর্ট ক্লাব কমপ্লেক্স নির্মাণ সহ ইত্যাদি উন্নয়ন কার্যক্রমের কাজ চলছিলো। কাজ চলাকালীন সময়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসসইন তার সহযোগী একজনসহ ক্লাবের অফিসে বিনা নোটিশে প্রবেশ করে ক্লাবের এডমিন স্টাফ হাসানের মধ্যমে আমার সাথে টেলিফোনে কথা বলে। 

আমি বিষয়টি কি জানতে চাইলে তখন মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসাইন বলেন যে, আমি পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে এসেছি পরিদর্শন করার জন্য, উত্তরে আমি মোহাম্মদ রফিক উদ্দিন বাবুল ভুঁইয়া ফাউন্ডার ভাইস প্রেসিডেন্ট  চিটাগং খুলশী ক্লাব লিমিটেড কর্তৃপক্ষ হিসেবে আমার এডমিন বিভাগের স্টাফ মোহাম্মদ হাসানকে আদেশ প্রদান করি যে, দেখো উনারা যেহেতু পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে এসেছে সুতরাং তুমি উনাদেরকে আমাদের ক্লাবের চতুর্দিক ঘুরিয়ে দেখাও এবং কিছু জিজ্ঞাসা করলে সঠিক ভাবে বলবে ক্লাবের কিছু সীমানা বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ সৌন্দর্য বর্ধন, ওয়াকওয়ে, ফুলের বাগান ইত্যাদি উন্নয়ন কার্যক্রমের কাজ চলছে এবং ক্লাবের এডমিন স্টাফ মোহাম্মদ হাসান আমার আদেশ মতো তাদেরকে ক্লাবের চতুর্দিক ঘুরিয়ে দেখায়। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও খুব সুন্দর ভাবে উন্নয়ন কাজ হচ্ছে বলে মন্তব্য করে চলে যায়। 

কিন্ত সাখাওতের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে পুন:রায় পুলিশসহ এসে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে নোটিশ প্রেরণ ছাড়া ক্লাবের দৈনিক কাজের ছয়জন শ্রমিককে এবং ক্লাবের এডমিন বিভাগের একজন কর্মকর্তাসহ পুলিশের সহায়তায় আচমকা অভিযান চালিয়ে ধরে তাদের পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামে নিয়ে যায় এবং একটি রুমের মধ্যে আটক করে রাখেন। পরবর্তীতে ক্লাবের পিয়ন আলাউদ্দিন আমাকে ফোন করে ঘটনাটি বলে যে, স্যার পুলিশ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন এসে নির্মাণ শ্রমিক ৬ জন এবং এডমিন বিভাগের ১ জন সহ মোট ৭ জনকে ধরে নিয়ে গেছে। ওই সময় আমি আমার ব্যাক্তিগত অফিসে ছিলাম।

ইতিমধ্যে ক্লাবের জমির সীমানা বাউন্ডারি ঘেঁষা পূর্বদিকের প্লটের মালিক প্রতিবেশী খালেদ সাইফুল্লাহ (মেয়র নোয়াখালী চৌমুহনী পৌরসভা) তার জমির সীমানা বিষয় আলোচনা করার জন্য ক্লাবের অফিসে প্রবেশ করেন আমাকে ক্লাবের পিয়ন আলাউদ্দিন ফোনে জানায়, মেয়র সাহেব এসেছেন স্যার আপনার সাথে কথা বলবে একটু তাড়াতাড়ি আসেন। উত্তরে আমি ক্লাবের পিয়ন আলাউদ্দিনকে বলি মেয়র সাহেবকে অফিসে বসাও চা-নাস্তা দাও আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই আসতেছি। 
 
আমি বিলম্ব না করে ক্লাবের অফিসে গিয়ে খালেদ সাইফুল্লাহ সাহেবের (মেয়র) জমির সীমানা নির্ধারণ বিষয় আমরা উভয় কর্তৃপক্ষ আলোচনা করি এবং সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, যার যার জমির পরিমাণ মোতাবেক পরিমাপ সাপেক্ষে সীমানা বাউন্ডারি করার জন্য আমি খালেদ সাইফুল্লাহ (মেয়র) মহোদয়কে অনুরোধ করি এবং প্রয়োজনে প্রতিবেশী হিসেবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ থেকে ছয় ইঞ্চি জমি নিয়ে হলেও সীমানা বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করার জন্য জানায় অথবা উভয়পক্ষের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সার্ভেয়ারের পরিমাপক সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাউন্ডারি সীমানা ওয়াল নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত দেই এবং সাইফুল্লাহ সাহেবেও একমত পোষণ করেন।

যেহেতু পরিবেশ অধিদপ্তরের ঘটনাটি সাইফুল্লাহ সাহেবের উপস্থিতিতে হয়েছে সে হিসেবে আমি সাইফুল্লাহ সাহেবকে অনুরোধ করি যে আপনিও আমাদের সাথে চলেন পরিবেশ অধিদপ্তরে কি কারণে গরিব অসহায় শ্রমিক গুলোকে ধরে নিয়ে গেছে তাদেরকে ছাড়িয়ে আনি, আপনিও আমার সাথে ঘটনার বর্ণনা দেবেন। সাইফুল্লাহও আগ্রহ প্রকাশ করেন আমার সাথে যাওয়ার জন্য। ক্লাবের দুইজন সদস্য আমার সাথে ছিল, একজন লায়ন্স মাওলানা ইউচুপ, অন্যজন সুজাউদ্দিন সহ আমরা সবাই একসাথে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস’র দপ্তরে দেখা করতে যায়। গিয়ে উনাকে আমাদের পরিচয় দেই, পরিচালক আমাদেরকে উনার রুমে বসতে বলেন। আমি সাবলীল ভাষায় পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসা করি কোন অপরাধে কি কারণে  ক্লাবের নির্মাণ শ্রমিকদেরকে আটক করে আনা হয়েছে। 

উত্তরে পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস বলেন, পাহাড় কাটা হচ্ছে সেই কারণে শ্রমিকদের আটক করা হয়েছে। উত্তরে আমি বললাম, দেখুন আমাদের ক্লাবের জমির আশেপাশে কোথাও পাহাড় নাই শুধু ক্লাবের জমির অংশে মাঝখানে পূর্বদিকে ১০ থেকে ১২ শতাংশের মধ্যে ছোট আকারে টিলা আছে উক্ত টিলাটির উপর হালকা ড্রেসিং করে পরিবেশসম্মত ক্লাবের বাংলো তৈরি করবেন ক্লাবের নিয়োগ কৃত ইন্জিনিয়ার। সুতরাং পাহাড় বা টিলা আমাদের প্রয়োজন, কাটার প্রশ্নই আসে না। ক্লাব কর্তৃপক্ষ হিসেবে আমরা পরিবেশের বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন।
আমি পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাসকে আরও বললাম, দেখুন ১৫ থেকে ২০ বছর আগে বা বর্তমানে যেদিকে পাহাড় বা টিলা আছে আপনার পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজনের যোগসাজশে পাহাড় খেকোরা পাহাড় টিলা কেটে আবাসিক প্লট ১০ তলা থেকে ১২ তলা এপার্টমেন্টস বিল্ডিং ফয়েজ লেক রোডের চতুর্দিকে কমার্শিয়াল ভবন তৈরি করে কেনাবেচা করতেছে এবং বড় বড় আবাসিক এলাকা তৈরি করা হয়েছে। সুতরাং আমরা ক্লাব কর্তৃপক্ষ কি কারণে পাহাড় কাঠবো পাহাড় কোথায় আছে আমরাতো পাহাড় কাটার মানুষও না ব্যবসাও করি না। আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে অথবা কেউ না কেউ আপনাকে ভুল বুঝিয়েছেন। আপনি আমাদের সাথে ক্লাবের জমি দেখতে চলেন স্বচক্ষে স্বরজমিনে তদন্ত পূর্বক আমাদের কোন ভুল বা অপরাধ হলে নোটিশ করবেন বা মামলা দেবেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ হিসেবে জবাবদিহি করবো।

আরও অবহিত করি, সরেজমিনে গিয়ে দেখুন ক্লাবের জমি অবৈধভাবে দখল করে প্রতিবেশী বিল্ডিংয়ের মালিক পাহাড় খেকো মোহাম্মদ মোকাররম খালেদ তার বিল্ডিংয়ের সাথে লাগোয়া ক্লাবের সীমানার ভিতরে ঢুকে টিলার কিছু অংশ চুরি করে কেটে করোনার সুনসান সময়ের সুযোগ নিয়ে ১০ ফিট চওড়া এবং ৫২ ফিট লম্বা একটি সেমি পাকা ঘর তৈরি করে ক্লাবের জমি অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছে।

তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো জানান, এই পাহাড় খেকো মোকাররম খালেদ পূর্ব থেকে তার মুল বিল্ডিংয়ের ভিতরে ১০ থেকে ১২ ফিট জমি অবৈধ ভাবে দখল করে বিল্ডিং করেছে তখন ক্লাব কর্তৃপক্ষ জমিটি ক্রয় করেনি। পরবর্তীতে ক্লাব কর্তৃপক্ষ জমিটি রেজিষ্ট্রার্ড বায়নানামা সম্পাদন করার পর সার্ভেয়ার কর্তৃক চারবার জমির পরিমাপ করা হলে মোকাররম এর মুল বিল্ডিংয়র অবৈধ কার্যক্রম পরিস্কার হয়ে যায়। তবে মোকাররমকে বিষয়টি সমাধান করার জন্য কয়েকবার ডাকা হয়েছে এবং প্রতিবেশী হিসেবে সহযোগিতা করবো বলা হয়েছে এবং আমাদের জমির লিগ্যাল এডভাইজার মোহাম্মদ এডভোকেট মোশাররফ হোসাইনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আলোচনার ভিত্তিতে অথবা আইনি ভাবে সমাধান করে ক্লাবের বাউন্ডারি সীমানা ওয়াল নির্মাণ ও পূর্ব দিকের প্রবেশ পথটি ক্লাবের সুবিধার্থে উম্মুক্ত করার জন্য। কিন্তু প্রতিবেশী পাহাড় খেকো মোকাররমের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করার মন মানসিকতা দেখা যাচ্ছে না উলটো লোক মুখে শোনা যায় ক্লাবের জমির বিষয় বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে স্বড়যন্ত্র মুলক বিভ্রান্তি ছড়ায়।  
    
প্রতিবেশী মোকাররম যখন অবৈধ ভাবে ক্লাবের উঁচু টিলা কেটে জমির উপর ঘর তৈরি করে, ঐসময়ে আমাদের ক্লাবের কার্যক্রম কভিড - ১৯, প্রাদুর্ভাব এর কারণে সাময়িক বন্ধ রাখা হয়ে ছিল এবং জাকির হোসেন রোডস্থ সানমার স্প্রীং ভ্যালীতে ভাড়া ঘরে অবস্থান ছিল। তখন ক্লাবের জমির উপর শুধু অফিস ছিল আর ক্লাবের কেয়ারটেকার পরিবার ছিল। পূর্বদিকে প্রচুর পরিমাণ জঙ্গল ছিল। মাঝে মধ্যে যাওয়া আশা করতাম কিন্তু মোকাররম এর অবৈধ কার্যক্রমের বিষয় ক্লাবের কেয়ার টেকার পরিবারকে জিজ্ঞাসা করা হলে কেয়ারটেকার পরিবার বলে জঙ্গলের কারণে তাদের চোখে পড়ে  নাই।  তখন ক্লাবের জমির পূর্ব দিকে প্রচুর জঙ্গল ছিল আর আমরাও ক্লাব কর্তৃপক্ষ কেউ ধারণাও করতে পারি নাই যে মোকাররমের এতবড় দুঃসাহস হবে ক্লাবের জমির উপর ঘর তৈরি করবে বা জমি দখল করবে। গত তিন মাস আগে ক্লাবের কিছু উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হলে বিষয়টি আমার নজরে পড়ে এত বড় একটা দুঃসাহসী কাজ হয়েছে। তবে বার বার অনুরোধ করি গরিব শ্রমিকদের কি অপরাধ তারাতো ক্লাবের অধিনে দৈনিক হিসাবে কাজ করে তাদেরকে ছেড়ে দেন প্রয়োজনে ক্লাব কর্তৃপক্ষ হিসেবে ক্লাবের পেডে লিখিত অঙ্গীকারনামা দেবো তদন্ত সাপেক্ষে ক্লাবের প্রসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্টের নামে মামলা দিয়েন এবং আমার সাথের সবাই শ্রমিকদেরকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য হিল্লোল বিশ্বাসকে অনুরোধ করেন দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা পর্যন্ত। 

কিন্তুপরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস আমাদের সকলের অনুরোধ প্রত্যাখান করলেন এবং আমাদেরকে বলেন আপনারা বাহিরে যান আমি শ্রমিকদের ছাড়বো না কোর্টে চালান করবো কোর্ট থেকে জামিন করিয়ে নিবেন ক্লাব কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে না। আমরা যখন নিরুপায় হয়ে তার অফিস ত্যাগ করে চলে আসবো ঠিক ঐমুহূর্তে তার পরিদর্শক সাখাওয়াত হিল্লোল বিশ্বাস পরিচালকের সাথে গোপনে আলাপ করে এসে আমাদের ক্লাবের এডমিন স্টাফ হাসান ও সদস্য সুজা উদ্দিনকে তাদের অফিসের এক কোনায় নিয়ে বলেন স্যার বলছেন দুই লাখ টাকা নগদে ঘুষ দিলে শ্রমিকদের ছেড়ে দেওয়া হবে। ওই সময় আমার বন্ধু ক্লাবের শুভাকাঙ্ক্ষী সুজা উদ্দিন আমাকে না জনিয়ে ক্লাবের সম্মান রক্ষার স্বার্থে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা, কিছুক্ষণ পরে ১ লাখ টাকা অপার করেন। হিল্লোল বিশ্বাসের খাস লোক সাখাওয়াত হোসাইন দুই লাখ টাকার কম হবে না বলে জানিয়ে দেন।  

একদিকে হিল্লোল বিশ্বাসের খাস লোক পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসাইন আমদের ক্লাবের এডমিন স্টাফ হাসান ও সদস্য সুজা উদ্দিন’র সাথে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে দেন দরবার করছেন। অন্য দিকে আমি মোহাম্মদ রফিক উদ্দিন বাবুল ভুঁইয়া পুনরায় গিয়ে পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাসকে অনুরোধ করি বলি, দেখুন আমি ক্লাবের ফাউন্ডার ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বিখ্যাত শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে এবং একজন সামাজিক জগতের মানুষ হিসেবে  আপনাকে শেষ বারের মতো অনুরোধ করছি।

গরিব অসহায় শ্রমিকদের ছেড়ে দেন প্রয়োজনে আমার নামে মামলা দেন কিন্তু পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস আমাকে অসম্মান করে বলেন যে আমিও মুি যোদ্ধার সন্তান আপনি মুক্তিযোদ্ধার নাম বিক্রি করছেন কেন তখন হিল্লোল বিশ্বাসের সাথে আমার বাড়াবাড়ি তর্কাতর্কি হয়ে যায় তারপর আমি এবং আমার লোকজন সহ তার অফিস ত্যাগ করে চলে আসি। পরবর্তীতে শুনি যে শ্রমিকদের খুলশী থানায় প্রেরণ করার সময় মামলার আরজিতে ক্লাবের প্রসিডেন্ট এবং  ভাইস প্রেসিডেন্ট এর নাম যুক্ত করা হয়েছে। পরেরদিন ১৬ ফ্রেব্রুয়ারি খুলশী থানা থেকে শ্রমিকদের আদালতে প্রেরণ করার সময় ক্লাবের প্রেসিডেন্ট’র নাম বাদ দিয়েছে। তাতে বুঝা যায় ঘুষ না-পাওয়ার কারণে এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদ করার কারণে ক্লাবের ফাউন্ডার -ভাইস প্রেসিডেন্ট এর নাম মামলার আর্জিতে যুক্ত করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।   
পরিবেশ অধিদপ্তরে জমির পরিমাণ ও স্ট্যাটাস সম্বন্ধে ক্লাবের ফাউন্ডার ভাইস প্রেসিডেন্ট’র পরিস্কার ব্যাখ্যা প্রদান করেন। আমি মোহাম্মদ রফিক উদ্দিন বাবুল ভুঁইয়া ক্লাবের দৈনিক কাজের ছয়জন শ্রমিককে ছাড়িয়ে আনার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে যাই। তখন পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস জমির কাগজপত্র দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন এবং কাগজপত্র প্রদান করি ও জমির স্টার্টাস এবং জমির পরিমাণ সম্বন্ধে ব্যাখ্যা চান। 

তখন আমি উপস্থিত সকালের সামনে ক্লাবের জমির বিষয় ব্যাখ্যা প্রদান করি। আমি ব্যাখ্যা করি যে দেখুন আমাদের ক্লাবের রেজিষ্ট্রার্ড বায়না নামা সম্পাদন কৃত জমির পরিমাণ ৮০.৮৩ শতাংশ অন্য মালিক থেকে সমঝোতা চুক্তি করা আছে ১৬.১৭ শতাংশ এবং ক্লাবের দ্বিতীয় গেইটের জন্য আরেক মালিক থেকে সমঝোতা চুক্তি করা আছে ১০ শতাংশ সর্বমোট ১০৭ শতাংশ জমি, কাঠায় ৬৫ কাঠা, জমি ক্লাবের অনুকূলে ২০১৮ - ১৯ সনে দক্ষিণ পশ্চিম উত্তর পাশ সহ ৯৫% সীমানা বাউন্ডারি ওয়াল, দুইটি গেইট, একটি একতলা অফিস সহ ক্লাবের অনুকূলে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। 

পরবর্তীতে গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস ক্লাব কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ক্লাবের ভাড়া ঘর ছেড়ে দিয়ে ক্লাবের  নিজস্ব রেজিষ্ট্রার্ড বায়না নামা সম্পাদন কৃত জমিতে একটি একতলা টিন শেড কার্ড রুম সাথে বার রুম সহ,একটি একতলা টিন শেড এবাদত খানা, স্টাফ ড্রাইভারদের জন্য বাথরুম,প্রস্রাবখানা নির্মাণ করে ক্লাবের নিজস্ব ভূমিতে কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। বর্তমানে ক্লাবের তৃতীয় ধাপের উন্নয়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে ১ নং- গেইট থেকে ২য় নং- গেইট পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, ২ ফিটের মধ্যে ফুলের বাগান ও গাছ চাষ,আন্ডার গ্রাউন্ড ওয়াটার টেংক রিজার্ভার নির্মাণ,সেফটি টেংক নির্মাণ,দ্বিতীয় গেইট নির্মাণ, দ্বিতীয় গেইট থেকে পূর্বদিকে ওয়াক ওয়ে নির্মাণ, পূর্ব দক্ষিণ দিকে সীমানা বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ, সাথে ২ ফিট্ বাগান নির্মাণ, গাছ চাষ, ৪ ফিট্ ওয়াক ওয়ে নির্মাণ সহ সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ এবং জমির ১০০% সীমানা বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ সাপেক্ষে এবং ক্লাব কমপ্লেক্স নির্মাণ করে নিরাপত্তা ইত্যাদি সংরক্ষণ করার কাজ চলছে।
 

সাবস্ক্রাইব ইউটিউব চ্যানেল


রিটেলেড নিউজ

সাতকানিয়ায় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ইটভাটা দখলচেষ্টা

সাতকানিয়ায় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ইটভাটা দখলচেষ্টা

newsgarden24.com

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: সাতকানিয়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় আধুনিক একটি ইটভাটা দখলচেষ্টা, ভ... বিস্তারিত

পলাশবাড়ী থানা পুলিশের তৎপরতায় শিশু বায়েজিদ হত্যার মুল আসামী গ্রেফতার

পলাশবাড়ী থানা পুলিশের তৎপরতায় শিশু বায়েজিদ হত্যার মুল আসামী গ্রেফতার

newsgarden24.com

আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধা: প্রতিবেশী সেরেকুল মণ্ডলের মাদকাসক্ত ছেলে রোমানের সঙ্গে নাবালিক... বিস্তারিত

মধ্যম কাঞ্চনার এক হরিমন্দির প্রসঙ্গেঁ

মধ্যম কাঞ্চনার এক হরিমন্দির প্রসঙ্গেঁ

newsgarden24.com

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রামের সাতকানিয়া মধ্যম কাঞ্চনার শর্ম্মাপাড়াস্থ এক হিন্দুধর্মীয় হরিমন্... বিস্তারিত

এক অর্পিতসম্পত্তির মামলার রায় পেয়ে দৌহিত্ররা সন্তুষ্ট 

এক অর্পিতসম্পত্তির মামলার রায় পেয়ে দৌহিত্ররা সন্তুষ্ট 

newsgarden24.com

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম ৩য় যুগ্ম জেলা ও দায়রাজজ এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনা... বিস্তারিত

সনদ জালিয়তী করে কারারক্ষীর চাকরী

সনদ জালিয়তী করে কারারক্ষীর চাকরী

newsgarden24.com

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম কারাগারের সাবেক কারারক্ষীর বিরুদ্ধে স্থায়ী ঠিকানা ও সনদ জালিয়াতি ক... বিস্তারিত

ভোটার উপস্থিতি ৫-৭ শতাংশের বেশি হবে না: সামাদ 

ভোটার উপস্থিতি ৫-৭ শতাংশের বেশি হবে না: সামাদ 

newsgarden24.com

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী সামাদ ভোটগ্রহণের শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। দু... বিস্তারিত

সর্বশেষ

১৪ জুন তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে ৫ থানার যৌথ প্রস্তুতি সভা

১৪ জুন তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে ৫ থানার যৌথ প্রস্তুতি সভা

newsgarden24.com

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: আগামী ১৪ জুন, বুধবার চট্টগ্রাম মহানগরে “দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশ” সফল ক... বিস্তারিত

৩০ জুলাই চট্টগ্রাম-১০ আসনে উপ-নির্বাচন  

৩০ জুলাই চট্টগ্রাম-১০ আসনে উপ-নির্বাচন  

newsgarden24.com

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ-নির্বাচন আগামী ৩০ জুলাই। ২০-তম কমিশন বৈঠক শেষে বৃহস্পতিব... বিস্তারিত

‘রপ্তানির প্রবৃদ্ধিতে লজিষ্টিক খাতে দক্ষ জনশক্তির কোন বিকল্প নেই’

‘রপ্তানির প্রবৃদ্ধিতে লজিষ্টিক খাতে দক্ষ জনশক্তির কোন বিকল্প নেই’

newsgarden24.com

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: Intregrated Supply Chain Management বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স চালুর বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদ... বিস্তারিত

দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য লাগামহীন: মোশাররফ হোসেন দীপ্তি

দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য লাগামহীন: মোশাররফ হোসেন দীপ্তি

newsgarden24.com

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দ... বিস্তারিত