শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩ ০২:০৪ এএম
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: গাড়ির হর্ন, নির্মাণ কাজ আর মাইক কিংবা সাউন্ড বক্সের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে সহনীয় মাত্রার চেয়ে প্রায় ‘দ্বিগুণ’ মাত্রার শব্দের তীব্রতায় বিপন্ন হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম মহানগরীর পরিবেশ। চট্টগ্রাম নগরীর জামাল খানের চারপাশের সড়ক ‘শব্দ দূষণমুক্ত’ ঘোষণা করলেও আগের মতোই হর্ন বাজিয়ে গাড়ী চালাচ্ছেন যানবাহনের চালকরা। শুধু মূল সড়কই নয়, খোদ জামালখান, মোমিন রোড, চেরাগীপাহাড়ের যেসব এলাকায় যানবাহন প্রবেশ করছে, সেসব গাড়ির চালকরাও হর্ন চেপেছেন বারবার।
আন্দরকিল্লা জেমিসন রেডক্রিসেন্ট হাসপাতাল এলাকায় ৭৫ দশমিক ৫, পাঁচলাইশ সার্জিস্কোপ হাসাপাতাল, লালখান বাজার মমতা ক্লিনিকের কাছে ৭৬ দশমিক ৫ এবং আগ্রাবাদ
মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে পাওয়া গেছে ৬৭ দশমিক ৬ ডেসিবল।অথচ শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অনুযায়ী এসব এলাকায় শব্দের গ্রহণযোগ্য মাত্রা হওয়ার কথা সর্বোচ্চ ৪৫ ডেসিবল। চিকিৎসকরা বলেছেন এ ধরনের শব্দ দূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম হুমকি।
এই এলাকা দিয়ে চলাচলাকারী চালক ও যাত্রীরা বলছেন, হর্ন বাজানো যে নিষেধ সেটা তাদের জানা নেই। কেউ আবার দুষছেন প্রচারণা কম হওয়াকে। আবার দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য বাধ্য হয়ে হর্ন দিতে হয় বলে ভাষ্য অনেক চালকের।
আর দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা বলছেন, কড়াকড়ি করে খুব বেশি লাভ হবে না। মানুষকে সচেতন হতে হবে, সচেতন করতে হবে। প্রচারণাও বাড়াতে হবে।
একজন চিকিৎসক জানান, শব্দ দূষণের ফলে মানবদেহে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি সেটার প্রভাব পড়তে পারে মায়ের গর্ভে থাকা শিশুদেরও। অতিরিক্ত শব্দ দূষণের কারণে মানুষ অনেক সময় স্থায়ীভাবে শ্রবণ শক্তি হারিয়ে ফেলে। যেটা চিকিৎসা করেও আর ফিরিয়ে আনা যায় না। এছাড়া রক্তচাপ, অস্থিরতা, নিদ্রাহীনতা ও মানসিক দুশ্চিন্তার মতো রোগও শব্দ দূষণের কারণে হয়ে থাকে বলে জানান এ চিকিৎসক।
চট্টগ্রাম মহানগরীর আবাসিক এলাকাগুলোতেও নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি শব্দের তীব্রতা পাওয়ার তথ্য উঠে এসেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের জরিপে। আবাসিক এলাকার সাতটি স্পটে করা জরিপে দক্ষিণ খুলশী এলাকায় শব্দের মাত্রা পাওয়া গেছে সর্বোচ্চ ৭৮ দশমিক ৫ ও চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার সামনে সর্বনিম্ন ৬৭ ডেসিবল।
জরিপে বাণিজ্যিক এলাকার ছয়টি স্পটের মধ্যে নগরীর জিইসি মোড়ে শব্দের সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৯৭ দশমিক ৫ ডেসিবল আর সর্বনিম্ন ছিল অক্সিজেন মোড়ে ৭৭ দশমিক ৫০ ডেসিবল।
এছাড়া সিইপিজেড মোড়ে ৮৯ দশমিক ৫, আগ্রাবাদ মোড়ে ৮৮, একে খান মোড়ে ৮৬ দশমিক ৫, বহদ্দারহাট মোড়ে ৮৪ দশমিক ৫ ও অক্সিজেন মোড়ে ৭৭ দশমিক ৫ ডেসিবল মাত্রার শব্দদূষণ পেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
পরিবেশ আইনে যেসব এলাকায় আবাসিক ভবনের পাশাপাশি বাণিজ্যিক এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে সেগুলোকে ‘মিশ্র এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এ ধরনের দুটি এলাকার মধ্যে নগরীর মুরাদপুর ও মেহেদীবাগ এলাকায় শব্দের মাত্রা নির্ণয় করা হয়েছে যথাক্রমে ৬৬ দশমিক ৫ ও ৭৯ দশমিক ৫ ডেসিবল করে।
শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ আইনে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আবাসিক এলাকায় ৫০ ডেসিবল, মিশ্র এলাকায় ৬০ আর বাণিজ্যিক এলাকায় ৭০ ডেসিবল শব্দের মাত্রা নির্ধারণ করা আছে। যানবাহনে হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার, নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা যন্ত্রের কারণে শব্দ দূষণটা বেড়ে যাচ্ছে। এগুলোর শব্দ নিয়ন্ত্রণ করলে দূষণ অনেকটা কমে যাবে।
সাবস্ক্রাইব ইউটিউব চ্যানেল
লাইক ফেইসবুক পেইজ
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বায়ু ও শব্দদূষণ প্রতিরোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ ও জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ যথোপযুক্ত পদ... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: সাতকানিয়া পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আরাফাত উল্লাহ’র জামিন পেতে সহা... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রামে সীমা গ্রুপের পরিচালককে কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে হাজির করাকে নজিরবিহ... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছ... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: আসন্ন পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্য মূল্যে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের অতিম... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, এই সরকার একটি লুটপাট... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দ... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুর... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছ... বিস্তারিত