শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩ ০১:৩৪ এএম
কে. এম আলী হাসান: দেশের নিত্যপণ্যে দ্রব্য সামগ্রীর দাম প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সরকার শত চেষ্টা করেও ব্যার্থ হচ্ছে। নিত্যপণ্য দ্রব্যের উর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরে রাখতে পারছেন না। এই ক্ষেত্রে সরকার কোন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না ফলে দেশের মধ্যবিত্তের বিশাল জনগোষ্ঠী এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠি চরম অভাব অনটনে আছে। সারাদেশের পাইকারী বাজার নিয়ন্ত্রণ করে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ বাজার। এখানে এখন সবকিছু সিন্ডিকেট দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রতিদিন চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের সোনাদিয়া মার্কেট ও উত্তরা ব্যাংক ভবনের নতুন মার্কেট এবং তার আশে পাশে বিভিন্ন ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
এরাই তেল, চাল, ডাল, চিনিসহ প্রভৃতির দাম উপরে তোলে এবং নামায়। তাদের সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে গোটা দেশের মানুষের প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য দ্রব্যসামগ্রীর দিন দিন মূল্য বৃদ্ধিতে দেশের সাধারণ নাগরিকেদের জীবন দিশেহারা।এই ক্ষেত্রে সরকার যদি কিছু কৌশল অবলম্বন করে তাহলে এসব সিন্ডিকেট ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। প্রথমত যা করতে হবে তাহলো মিলওয়ালা ও আমদানী কারকদেরকে ধরতে হবে তোমরা কতগুলো ডিও বিক্রি করেছো? ডিও নাম্বার এবং কার কাছে বিক্রি করেছে তাদের নাম ও ঠিকানা বের করতে হবে। ২। সেই গুদামে ও মিলে গিয়ে নাম্বার চেক করে কোন নাম্বার থেকে ডিও ডেলিভারী হয়েছে? আর কোন নাম্বারে ডিও বিক্রির ডেলিভারী হয়নি। যেগুলো অর্থাৎ হাত বদল হচ্ছে মূলত তারাই মূল্য বৃদ্ধি করছে। ৩। মিলওয়ালা এবং আমাদানীকারক কত দামে বিক্রি করেছে তার সাথে বর্তমান বাজার দরের মিল আছে কিনা? তখন ধরা খেয়ে যাবে। ৪। স্লীপ ব্যবসা নামে জুয়া খেলা: খাতুনগঞ্জের সোনামিয়া মার্কেট ও উত্তরা ব্যাংক এর নীচতলা, দ্বিতীয় তলা ও আশে-পার্শ্বের বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্লীপ বিক্রির ব্যবসা বেশ জমজমাট করছে। এটি এক ধরনের জুয়া খেলার মতো, একটি স্লীপের মূল্য ৫ হাজার/ ১০ হাজার টাকার মতো। অর্থাৎ যারা ডিও ক্রয় করতে পারে না তারা অগ্রীম ৫ হাজার অথবা দশ হাজার টাকা দিয়ে তেল, চিনি, ডাল ইত্যাদির স্লীপ ক্রয় করে স্লীপের বিপরীতে মালামাল ডেলিভারী দিতে পারবে না। একটি নির্দিষ্ট তারিখ নেয়, ঐ তারিখের মধ্যে বাজার দর বেড়েগেলে কিছু লভ্যাংশ দেয়। কমে গেলে অর্থাৎ যে পণ্যের স্লীপ কেটেছে ঐ পণ্যের দাম কমে গেলে ঐ স্লীপ ক্রয়ের টাকা ফেরত দেয়না। ঐ টাকাটা খেয়ে ফেলে। এই ধরনে স্লীপ বেচা-কেনা নিয়েও জুয়া খেলা চলছে খাতুনগঞ্জের মার্কেটে।অনেকে এই ব্যবসা করে সর্বশান্ত হচ্ছে। আরকেউ ১/২টি স্লীপ ক্রয় করে না। একেক জনে ২০/ ৩০/ ৫০/ ১০০টি স্লীপ পর্যন্ত ক্রয় করে। অভিজ্ঞ মহলের অভিযোগ এই স্লীপ ব্যবসা বন্ধ করতে পারলেই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ করা যাবে। খোজ নিয়ে জানা যায়, খাতুনগঞ্জের মার্কেটে ব্যবসায়ীদের হাতে যতগুলো ডিও আছে তথগুলো মালামাল মিলওয়ালাদের মালিকের হাতেও নেই।সাবস্ক্রাইব ইউটিউব চ্যানেল
লাইক ফেইসবুক পেইজ
আল নূর: মৃত্যুপুর , দর্পচুর । কর্মফল , বর্ম-বল । পূণ্য- আলো , পাপ -কালো । ফল পাবে , সব ভালোর । পথ পাব... বিস্তারিত
নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, ফটিকছড়ি: উপজেলা ফটিকছড়ির পৌরসভার থানা সদরের ছিলোনিয়া ছড়া ময়লা ও আবর্জনায় ভরা... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: হযরত গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর তরিকা ও আদর্শবাহী সংগঠন আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীন... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে “মায়ের ডাক” ও “অধিকার” এর যৌথ উদ্যোগে আ... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) আজ ৭ মার্চ (মঙ্গলবার) চট্ট... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বিদ্যুৎ-গ্যাস-চাল-ডাল-আটা-তেল-লবণ-চিনিসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে ... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, এই সরকার একটি লুটপাট... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দ... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুর... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছ... বিস্তারিত