রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩ ০৬:০৯ এএম
কে. এম আলী হাসান: দেশের নিত্যপণ্যে দ্রব্য সামগ্রীর দাম প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সরকার শত চেষ্টা করেও ব্যার্থ হচ্ছে। নিত্যপণ্য দ্রব্যের উর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরে রাখতে পারছেন না। এই ক্ষেত্রে সরকার কোন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না ফলে দেশের মধ্যবিত্তের বিশাল জনগোষ্ঠী এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠি চরম অভাব অনটনে আছে। সারাদেশের পাইকারী বাজার নিয়ন্ত্রণ করে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ বাজার। এখানে এখন সবকিছু সিন্ডিকেট দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রতিদিন চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের সোনাদিয়া মার্কেট ও উত্তরা ব্যাংক ভবনের নতুন মার্কেট এবং তার আশে পাশে বিভিন্ন ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
এরাই তেল, চাল, ডাল, চিনিসহ প্রভৃতির দাম উপরে তোলে এবং নামায়। তাদের সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে গোটা দেশের মানুষের প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য দ্রব্যসামগ্রীর দিন দিন মূল্য বৃদ্ধিতে দেশের সাধারণ নাগরিকেদের জীবন দিশেহারা।এই ক্ষেত্রে সরকার যদি কিছু কৌশল অবলম্বন করে তাহলে এসব সিন্ডিকেট ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। প্রথমত যা করতে হবে তাহলো মিলওয়ালা ও আমদানী কারকদেরকে ধরতে হবে তোমরা কতগুলো ডিও বিক্রি করেছো? ডিও নাম্বার এবং কার কাছে বিক্রি করেছে তাদের নাম ও ঠিকানা বের করতে হবে। ২। সেই গুদামে ও মিলে গিয়ে নাম্বার চেক করে কোন নাম্বার থেকে ডিও ডেলিভারী হয়েছে? আর কোন নাম্বারে ডিও বিক্রির ডেলিভারী হয়নি। যেগুলো অর্থাৎ হাত বদল হচ্ছে মূলত তারাই মূল্য বৃদ্ধি করছে। ৩। মিলওয়ালা এবং আমাদানীকারক কত দামে বিক্রি করেছে তার সাথে বর্তমান বাজার দরের মিল আছে কিনা? তখন ধরা খেয়ে যাবে। ৪। স্লীপ ব্যবসা নামে জুয়া খেলা: খাতুনগঞ্জের সোনামিয়া মার্কেট ও উত্তরা ব্যাংক এর নীচতলা, দ্বিতীয় তলা ও আশে-পার্শ্বের বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্লীপ বিক্রির ব্যবসা বেশ জমজমাট করছে। এটি এক ধরনের জুয়া খেলার মতো, একটি স্লীপের মূল্য ৫ হাজার/ ১০ হাজার টাকার মতো। অর্থাৎ যারা ডিও ক্রয় করতে পারে না তারা অগ্রীম ৫ হাজার অথবা দশ হাজার টাকা দিয়ে তেল, চিনি, ডাল ইত্যাদির স্লীপ ক্রয় করে স্লীপের বিপরীতে মালামাল ডেলিভারী দিতে পারবে না। একটি নির্দিষ্ট তারিখ নেয়, ঐ তারিখের মধ্যে বাজার দর বেড়েগেলে কিছু লভ্যাংশ দেয়। কমে গেলে অর্থাৎ যে পণ্যের স্লীপ কেটেছে ঐ পণ্যের দাম কমে গেলে ঐ স্লীপ ক্রয়ের টাকা ফেরত দেয়না। ঐ টাকাটা খেয়ে ফেলে। এই ধরনে স্লীপ বেচা-কেনা নিয়েও জুয়া খেলা চলছে খাতুনগঞ্জের মার্কেটে।অনেকে এই ব্যবসা করে সর্বশান্ত হচ্ছে। আরকেউ ১/২টি স্লীপ ক্রয় করে না। একেক জনে ২০/ ৩০/ ৫০/ ১০০টি স্লীপ পর্যন্ত ক্রয় করে। অভিজ্ঞ মহলের অভিযোগ এই স্লীপ ব্যবসা বন্ধ করতে পারলেই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ করা যাবে। খোজ নিয়ে জানা যায়, খাতুনগঞ্জের মার্কেটে ব্যবসায়ীদের হাতে যতগুলো ডিও আছে তথগুলো মালামাল মিলওয়ালাদের মালিকের হাতেও নেই।সাবস্ক্রাইব ইউটিউব চ্যানেল
লাইক ফেইসবুক পেইজ
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রবর্তক হযরত গাউছুল আজম শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভা... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: লাখো ভক্তের উপস্থিতিতে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছে মাইজভাণ্ডারী ত... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বিশ্ব-দুলালী নবী-নন্দিনী খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতিমা যাহ্ রার (আঃ) এর পবিত্র জন্... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বহুজাতিক তামাক কোম্পানি ফিলিপ মরিস (পিএমআই) এর অর্থপুষ্ট ফাউন্ডেশন ফর এ স্মো... বিস্তারিত
মোহাম্মদ মাসুদ, বিশেষ প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম র্যাব-৭'র অভিযানে ৯ লক্ষ টাকার মাদকদ্রব্য কুমিল্লা ... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: ধনী গরীব ভাই ভাই, শীতের পিঠা খাব সবাই" এই স্লোগানকে ধারন করে বাংলাদেশে সাড়া জা... বিস্তারিত
গোলাম ছরওয়ার, বিশেষ প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা মধ্য বড়লিয়াতে শীতার্ত দুঃস্থ মানুষের ... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির প্রাক্তন সদস্য বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট মুহম্ম... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রবর্তক হযরত গাউছুল আজম শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভা... বিস্তারিত
মুহাম্মদ বদরুদ্দীন সাদী: আলহামদুল্লিাহ্! মহান আল্লাহ্ তায়ালা আমাকে ফখরুদ্দীন (রহ.) এর মত উসতাদ ... বিস্তারিত