নিউজগার্ডেন ডেস্ক: একদফা আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন ঘটানোর জন্য যুবদল তৈরি বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা: শাহাদাত হোসেন। আগামী ২৪ ডিসেম্বরের গণমিছিল সফল করার লক্ষ্যে আজ বেলা ৩:০০ ঘটিকায় নসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। 
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় ডা: শাহাদাহ হোসেন আরো বলেন,  চট্টগ্রামের বিভাগীয় সমাবেশে জনতার জোয়ার যেভাবে সারাদেশে গনতন্ত্রকামী মানুষকে আশার আলো দেখিয়েছে, ঠিক

সেভাবে চট্টগ্রামের গণমিছিলে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এই অবৈধ সরকারকে পতনের পথে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। দলীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবী জানিয়ে তিনি বলেন, বছরের পর বছর হামলা মামলা করেও এই মিডনাইট সরকার বিএনপিকে দমাতে পারেনি বরং এইদল আরও শক্তিশালী হয়ে গণমানুষের দল হিসেবে জনগণের হৃদয়ে প্রোথিত হয়েছে। দিশেহারা হয়ে জনবিচ্ছিন্ন সরকার দলীয়  নেতারা কারো হাত ভেঙে দেওয়া, কারো তেল বের করার মতো হুমকি দিতে শুরু করেছে। চট্টগ্রামের জনগণ হুমকিতে ভীত নয়,  আগামী ২৪ ডিসেম্বর জনতা রাজপথে থেকে প্রমাণ করবে যে, হামলা মামলা দিয়ে বীর চট্টলার জনতাকে কোন অপশক্তি রুখতে পারবেনা। ডা: শাহাদাত হোসেন  যেকোন মূল্যে ২৪ তারিখের গণমিছিল সফল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সভার প্রধান বক্তা নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, হাসিনা হঠাও আন্দোলন এখন আর দলীয় দাবী নেই, এটা গণদাবীতে পরিনত হয়েছে। যার প্রতিফলন প্রতিটি বিভাগীয় সমাবেশে দেখা গেছে। বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে কারান্তরীণ করে হায়েনা সরকার ভেবেছিল ঢাকার সমাবেশ ব্যর্থ হয়ে যাবে। কিন্তু এতো বাঁধার পরও সরকার পতনের দাবীতে রাজধানীতে এত লোকের সমাগম হয় যে পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশের জাতীয় দৈনিক তা গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করেছে।  এতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে অবৈধ সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী মরণকামড় দিতে চাইছে। কিন্তু জনগণ যখন একবার রাস্তায় নেমে আসে তখন অধিকার আদায় না করে তাঁরা ঘরে ফিরে যায় না। শ্রীলঙ্কার মত পরিণতি না চাইলে প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেশকে গনতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানান।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি নুর আহমদ গুড্ডু, এস এম শাহ আলম রব, এম এ রাজ্জাক, ফজলুল হক সুমন, মোহাম্মদ মুছা, মিয়া মো: হারুন, আবু সুফিয়ান, জাহেদুল হাসান বাবু, মোহাম্মদ আলী শাকী, যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন, হুমায়ন কবির, মো:সেলিম উদ্দিন, ইকবাল পারভেজ, এরশাদ হোসেন, আবদুল হামিদ পিন্টু, সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল,  সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, গুলজার হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, মুজিবুর রহমান রাসেল, সম্পাদক নুর হোসেন উজ্জ্বল, জিল্লুর রহমান জুয়েল, মহিউদ্দিন মুকুল, নুরুল আমিন, আসাদুজ্জামান রুবেল, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, সহসম্পাদক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, কমল জ্যোতি বড়ুয়া, মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, হাফেজ কামাল উদ্দিন, মনজুর আলম, আশরাফ উদ্দিন, মো:সালাহউদ্দিন, মোহাম্মদ ইদ্রিস, মিফতাহ উদ্দিন সিকদার টিটু, ইলিয়াস হাসান মঞ্জু, দেলোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম খান, মো: বেলাল উদ্দিন, মো: জসিম উদ্দিন, মো: হাসান, সদস্য সাইদুল হক শিকদার, শাবাব ইয়াজদানী, আহবায়ক ইসমাইল হোসেন লেদু, শফিউল আজম, মো: ইসমাইল, মোশাররফ আমিন সোহেল, হোসনে মোবারক রিয়াদ, শওকত খান রাজু, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, মোরশেদ কামাল,  হাবিবুল্লাহ খান রাজু, মো: হাসান, তাজউদ্দীন, মো: রাশেদ, এজেড এম সোহেল, নুর খান, আবদুল জলিল, মো: সোহেল, আবু বক্কর বাবু, মো: হাসান, বাদশা আলমগির, আকতার হোসেন, জহিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইস্কান্দার, মোহাম্মাদ জাবেদ,  মো সাইফুল ইসলাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।