রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩ ০৫:৫২ এএম
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল, আজকে বর্তমান সরকারও একই কায়দায় মানুষের উপর নির্যাতন নিপীড়ন চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
তিনি বলেন, আজকেও একইভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। পুলিশ দিয়ে নেতাকর্মীদের হামলা করে বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কার্যালয় তছনছ করা হয়েছে। মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস সহ শীর্ষ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশের মানুষের ওপর স্টিম রোলার চালাচ্ছে। বর্তমান সরকার ১৯৭১ সালের হানাদার বাহিনীর চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। তারা সারা বিশ্বে বাংলাদেশের
সম্মানকে ক্ষুন্ন করেছে। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে খুব পরিষ্কার করে বলেছে, এরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।আজকে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে গণতন্ত্রহীন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।তিনি বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
আলোচনা সভার পরে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল নেতা আলাউদ্দিন সুমনের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে মরহুম সুমনের পিতা সালাউদ্দিন লাথু ও ছোট ভাই এরশাদ উদ্দিন আবির সহ নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। দেশের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা অপশক্তি তাদের সে প্রত্যাশাকে বাস্তবায়িত হতে দেয়নি। স্বাধীনতার পর থেকেই অগণতান্ত্রিক শক্তি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো হরণ করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করেছে। গণতন্ত্রকে রাষ্ট্র ও সমাজ থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। বর্তমান ক্ষমতাসীনরা বিভেদ, অনৈক্য এবং সংকীর্ণতার দ্বারা জাতীয় অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তিনি অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস সহ গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান। বাংলাদেশের মহান মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের প্রেরণা জুগিয়েছিলেন তারা। নিজেদের মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে জনগণকে উদ্দীপ্ত করেছিলেন সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. এনামুল হক বলেন, বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন পূরণে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গণতান্ত্রিক অধিকার মানুষের সর্বজনীন অধিকার, সেটি সমুন্নত রাখতে আমাদের মিলিত শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।
চমেক শাখা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত মুহূর্তে বীর বাঙালি যখন অত্যাসন্ন বিজয়ের আনন্দে উন্মুখ, ঠিক তখন দখলদার বাহিনীর গুপ্ত ঘাতকরা রাতের আঁধারে মেতে ওঠে বুদ্ধিজীবী নিধনযজ্ঞে। জাতি হারায় তার অসংখ্য মেধাবী সন্তানকে।
মহানগর নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের, যার আদর্শ হবে গণতন্ত্র। কিন্তু বর্তমান সরকার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বড় বাধা।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শানওয়াজ বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতীয় জীবনে একটি বেদনাময় দিন। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের দুই দিন আগে হানাদার বাহিনীর দোসররা দেশের বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। তারা মনে করেছিল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করলেই এই দেশ দুর্বল হয়ে পড়বে। কিন্তু তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি।
চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দীন আহমেদ মানিক বলেন, বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে জনগণকে উদ্দীপ্ত করেছিলেন সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত মুহূর্তে দখলদার বাহিনীর ঘাতকরা রাতের আঁধারে বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজের সভাপতিত্বে ও আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. এনামুল হক, চমেক ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, মহানগর নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনওয়াজ, পেশাজীবি নেতা এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. এস এম সারোয়ার আলম, অধ্যাপক জন্টু বড়ুয়া, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, কৃষকদলের সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, আকবর শাহ থানা বিএনপির সভাপতি আবদুস সাত্তার সেলিম, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, ইপিজেড থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ।
সাবস্ক্রাইব ইউটিউব চ্যানেল
লাইক ফেইসবুক পেইজ
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ভর করে আওয়াম্লীীগ আজ ক্ষমতায় মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়... বিস্তারিত
যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোস... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, ... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তিসহ বিএনপি, যুবদল ও স্বে... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ ইলিয়া... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম পর্যায়ের আগাম প্রার্থী তালিক... বিস্তারিত
গোলাম ছরওয়ার, বিশেষ প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা মধ্য বড়লিয়াতে শীতার্ত দুঃস্থ মানুষের ... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির প্রাক্তন সদস্য বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট মুহম্ম... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রবর্তক হযরত গাউছুল আজম শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভা... বিস্তারিত
মুহাম্মদ বদরুদ্দীন সাদী: আলহামদুল্লিাহ্! মহান আল্লাহ্ তায়ালা আমাকে ফখরুদ্দীন (রহ.) এর মত উসতাদ ... বিস্তারিত