নিউজগার্ডেন ডেস্ক: জাতিসংঘের ৭৪তম মানবাধিকার দিবস গতকাল ১০ ডিসেম্বর ২০২২ উদযাপিত হয়। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মডেল শাখার ৩৩তম এবং পৌরসভা শাখার ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাউর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন ‘অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহারে জীবাণু এখন নিজেই প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। ফলে মানুষের মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে। কিছু ডাক্তার রোগীদের অধিক মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে থাকেন। কিছু ফার্মেসীতে প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি হয়, দোকানদার না জেনে সব ধরনের রোগীকে একই অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে থাকেন। কিছু

রোগী অ্যান্টিবায়োটিকের দাম বেশি বলে কোর্স কমপ্লিট করে না। এতে জীবাণু ধ্বংস হয় না, বরং জীবাণু ভয়ঙ্কর প্রতিরোধী হয়ে উঠে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না। এতে সরকারী নজরদারির পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।’
 ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি চট্টগ্রাম অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংস্থার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ জহুরুল আনোয়ার। পবিত্র কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করেন সংস্থার মরিয়মনগর ইউনিয়ন শাথার সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক। উদ্বোধন করেন ইউনিভার্সিটির ফাউন্ডার মুহাম্মদ ওসমান। ‘অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সতর্কতা’ বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক (অব.) ডা. সুকুমার নন্দী। প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম, প্রফেসর ড. এসএম ফয়সল অশ্রু, অধ্যাপক বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী, ডা. এএসএম শওকতুল ইসলাম।
২য় পর্বে ইসলামী আধ্যাত্মিকতায় হযরত শাহ্সূফী কাঙ্গালী শাহ্ (রাহ্.), ইসলামী আধ্যাত্মিক গ্রন্থ রচনায় কাজী সৈয়দুল হক (মরণোত্তর), সমাজসেবায় সৈয়দুল হক তালুকদার (মরণোত্তর), সরকারী দায়িত্ব পালনে সততা ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় ২য় বিশ্বযুদ্ধের বীরসৈনিক মো. আজিমুল কাদীর (মরণোত্তর)-কে ‘মানবাধিকার পুরস্কার’ সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননাগুলো গ্রহণ করেন গুণীজনদের প্রতিনিধি যথাক্রমে ইঞ্জিনিয়ার কাজী রাশেদ হাসান, কাজী মোস্তফা সেলিম জাহাঙ্গীর, মো. হাবিব উল্লাহ্ তালুকদার বাহার ও চৌধুরী রিজ্ওয়ানুল মুবিন।
৩য় পর্বে ৪০জন পিএইচডি ও এমফিল গবেষক, ২১জন গ্রন্থ-পুস্তক প্রণেতা, ৬জন পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণামূলক প্রবন্ধ ও উপ সম্পাদকীয় লেখক, ৩জন কলামিস্ট ও ৫টি সৃজনশীল ও সেবামূলক সংস্থা-সংগঠনকে ‘মানবাধিকার সনদ’ প্রদান করা হয়।
২য় ও ৩য় পর্বে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর ড. আক্তারুন্নেসা চৌধুরী, প্রফেসর ড. আলম শাহ্, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রাশেদুল আলম, প্রফেসর ড. এম কে মুহাম্মদ জিয়াউল হায়দার, ড. মুহাম্মদ নূরুল আবছার, ড. এস এম ফয়সল অশ্রু, ড. মাওলানা এটিএম লিয়াকত আলী, ড. কাজী এরশাদুল হক, অধ্যাপক মো. শওকত হোসেন, অধ্যাপক এএ আতাউল করিম চৌধুরী, লায়ন সিএসকে সিদ্দিকী, মোহাম্মদ হোসেন, দীপক জ্যোতি আইচ, সৈয়দ আবদুল হামিদ আল্ হাদী, কৃষিবিদ মো. কায়কোবাদ চৌধুরী, আহমদ ইমরানুল আজিজ তালুকদার, মাওলানা হাফেজ কাজী খাইরুল আনোয়ার, মাওলানা মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, সিকদার গিয়াস উদ্দীন মাহমুদ, খোরশেদ আলম ফারুকী, সাংবাদিক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, সৈয়্দ আবদুল নোমান, হামিদুল হক, পারভীন আক্তার প্রমুখ।
সংস্থার সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম আজাদের সঞ্চালনায় উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বঙ্কিম চন্দ্র দাশ ও পৌরসভা শাখার সভাপতি মাস্টার মুহাম্মদ আবু তালেব স্ব স্ব শাখার বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন। এতে উপজেলা ও পৌরসভা শাখার কার্যকরী পরিষদ, আজীবন সদস্য, মৌলিক অধিকার বিষয়ক উপ-কমিটি, লিগ্যাল এইড বোর্ডের প্যানেল লইয়্যার, জুরি অ্যান্ড আর্বিট্রেশন বোর্ডের প্যানেল মেডিয়েটর, ইউনিয়ন শাখার কার্যকরী পরিষদের প্রতিনিধি ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।