নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বিএনপির ইউনিট কমিটিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে আকবরশাহ থানায় বিএনপির সাংগঠনিক টিমের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছেন ইউনিট কাউন্সিলররা।
গত ১৮ অক্টোবর আকবরশাহ থানার আওতাধীন ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ইউনিট কমিটি গঠনকালে ব্যাপক অনিয়মসহ দলের হাইকমাণ্ডের নির্দেশনা অমান্য করে সাংগঠনিক টিম এবং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক অপকৌশলের মাধ্যমে ভোট নেওয়ার অভিযোগে ক্ষুব্ধ তৃণমুল নেতাকর্মী সহ প্রার্থীগণ। তারা লিখিতভাবে দলের হাইকমান্ড, মহানগর বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তাই ধারাবাহিকতায় আজ ২২ অক্টোবর শনিবার বিকাল ৪টায় ফিরোজশাহ

সড়কে সাংগঠনিক টিম প্রধান এস কে খোদা তোতন, সদস্য সাহাবুদ্দিন কমান্ডার, ইকবাল চৌধরীসহ যারা এই অপকর্মে লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছে।
মিছিলকারীদের অভিযোগ, আমরা বিএনপি যারা করি তারা দলকে ভালোবেসে, দলের আদর্শ, গঠনতন্ত্র, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা প্রতিটি ইউনিটে তৃণমুল নেতাকর্মীদের কাউন্সিলর করে ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করতে। কিন্তু গত ১৮ অক্টোবর বিকালে টিম প্রধান এসকে খোদা তোতনসহ টিম সদস্য গণ কোন কাউন্সিলদের না জানিয়ে শুধু প্রার্থীদের ডেকে এক প্রকার জোরপূর্বক প্রার্থীদের বলে দলের সম্মেলন এখন হয়ে যাবে। এক প্রকার অগণতান্ত্রিক ভাবে আওয়ামীগ কায়দায় ভোট করে নেয়, তাদের প্রছন্দ মত প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে দেন। আমরা তা সাথে সাথে প্রত্যাখান করি।
তারা আরো বলেন, আমরা গত ২০১১ সালে সম্মেলন কাকে বলে দেখেছি। বিএনপির যূগ্ম-মহাসচিব বর্তমানে কারাগারেবন্দি এবং চট্টগ্রাম-৪ সংসদীয় আসনের বিএনপির মনোনীত অভিভাবক আসলাম চৌধূরীর তত্বাবধায়নে প্রত্যেক ইউনিটে তৃণমুল নেতাকর্মীরা স্বচ্ছ ব্যালটেরর মাধ্যমে উৎসবমূখর পরিবেশে সম্মেলন করেছিলেন। কই তখন তো কেউ কোন অভিযোগ করতে পারেনি। আমরা আশা করেছিলাম ঠিক সেই ধরনের পরিবেশে আবার নির্বাচন হবে। কিন্তু হলো না। কারণ যারা নিরপেক্ষ ভাবে সম্মেলন শেষ করার কথা তারাই আওয়ামীগ পন্থায় দলীয় গণতন্ত্রের বিরুদ্ধ ষড়যন্ত্র করেছে।
আজকের ঝাড়ু মিছিলের মাধ্যমে তাদের এ আকবরশাহ থানার সাংগঠনিক টিমের বিরুদ্ধ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবী করেছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
মিছিলে নেতৃত্বদেন ইউনিট প্রার্থী সাইফুল ইসলাম, আবসার মিয়া, জসিম, বেলাল প্রমূখ।

এ ব্যাপারে এস কে খোদা তোতন জানান, প্রার্থীদের উপস্থিতিতে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে সকলেই একমত হন নির্বাচনের মাধ্যমে ফলাফল যাই হবে তা সকলে মেনে নিবে। এই মর্মে সকল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর প্রদান করেন। অতঃপর গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন করা হয় এবং সকলের উপস্থিতিতে ভোট গণনা সম্পন্ন করা হয়। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বেলাল, সাইফুল, জাহাঙ্গীর, জসিম, মামুন ভোটে হেরে যাওয়ায় ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনা অমান্য করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে।