বিশেষ প্রতিনিধি: সাতকানিয়ার কেরানীহাটে বখাটে ও যুবতীদের আনাগোনা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি  পেয়েছে। জানা যায় পরকীয়া আসক্ত প্রেমিকাকে কেনাকাটা ও বিরায়ানির লোভ দেখিয়ে মার্কেটে নিয়ে যায়। মার্কেটে কেনাকাটার অজুহাতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘোরাঘুরি করে ক্ষুধা নিবারণের লক্ষ্যে হোটেল রেস্তোরায় প্রবেশ করে। দোকানে বসে আলাপচারিতায় ব্যস্ত থাকে। এসময় কোন পুরুষ নাস্তা করতে হোটেলে গিয়ে পার্শ¦বর্তী চেয়ারে বসলে  তারা ক্ষেপে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।  তাদের অন্যায় আবদারে মালিকপক্ষ সাফাই না গাইলে  তাদের উপর চড়ে যায়। এছাড়া  কেরানীহাটে দেহ ব্যবসায়ী ও আনাগোনা করে।সন্ধ্যা হলে ও তারা  হোটেল রেস্তোরা ও 

মার্কেটের  সামনে খর্দ্দের  অপেক্ষায়  থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।  এমন একটি ঘটনার অবতারণা ঘটে  রবিবার  বিকালে  কেরানীহাট বায়তুশ শরফ হোটেলে। সূত্রমতে এক যুবক ৩টি যুবতী মেয়ে নিয়ে মনের আনন্দে নাস্তা খাচ্ছিল। এমন সময় জনৈক ভদ্র লোক তাদের পাশর্^বতী চেয়ারে বসেন নাস্তা করার জন্য।  তাকে বখাটে যুবক বলেন  এখানে নাস্তা করা যাবে না। এ গ্রাহকের ধারণা হয় এটা তার বাপ দাদার হোটেল। তিনি যেন  ভুলে তার বাপের হোটেলে গেছেন। এ বিষয়টি হোটেল ম্যানেজারকে জানালে তিনি বলেন এখানে মহিলা নিয়ে এসে জটলা সৃষ্টি করে।  আমরা কিছু বললে উল্টো তর্কবিতর্কে লিপ্ত হয়। জানা যায় এসব বখাটের কারণে  কেরানীহাটে পরিবেশ নষ্ট হতে চলেছে। তারা অবলা যুবতীদের সাথে ভাব জমিয়ে  তাদের বিপদগামী করছে। এছাড়া  প্রবাসী স্ত্রীর সাথে প্রেম করে তাদের সংসার বিচ্ছেদ করে যাচ্ছে। তাদের সংসারে রয়েছে শিশু সন্তান। প্রবাসী গায়ের ঘাম পায়ে ফেলে বউয়ের একাউন্টে টাকা পাঠাই। তার সারা জীবনের কষ্টের টাকা ও স্বর্ণাংলকার নিয়ে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যায়। পরকীয়া আসক্ত বউয়ের নেই ছেলেমেয়ের মায়া নেই স্বামীর মহব্বত। এরকম কয়েকটি  এখানে ও চন্দনাইশে ঘটেছে।  এব্যাপারে চন্দনাইশ থানায় ২/৩টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।  এদিকে এসব বখাটের কাছ থেকে রেহাই পাচ্ছে শিশু শিক্ষার্থী। সূত্রমতে উপজেলার পুরানগড়ে বখাটের যৌন নিপীড়নে শিকার হয়ে  অন্তঃসত্ত্বার দায়ভার এড়াতে পুরানগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আতœহত্যা করে বলে সূত্রেপ্রকাশ। তাছাড়া একই ইউনিয়নে ৭ জুন এক শিশু শিক্ষার্থী  ইভটিজিং এর শিকার হয়েছে। অপরদিকে ১২ জুন উপজেলার পশ্চিম ঢেমশা  বোর্ড অফিস এলাকায় আরেক শিক্ষার্থী ইভটিজিং এর শিকার হয়। উভয় ঘটনায় ভ্রাম্যমান আদালত বখাটেদের  কারাদন্ড দেন। জানা যায় ছেলেমেয়েদের উপর পারিবারিক  নজর কিংবা শাসন  না থাকায়  তারা চারিত্রিক অবক্ষয়ে পা দিচ্ছে।  তাদের উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপনে এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূত্রমতে যে যুবক যুবতী মার্কেটে ঘোরাফেরা ও হোটেল রেস্তোরায় বিরায়ানি ভোজন করছে তাদের সকলের বাড়ী গ্রামগঞ্জে। তাদের হোটেলে বসে নাস্তা করার প্রয়োজন আছে বলে সচেতন মহলের কারো মনে হয় না। বখাটেরা যুবতীদের মন গলানোর জন্য ওই সবের অন্তরালে এ ফন্দি আটে। ফলে পর্যায়ক্রমে নারী কেলেংকারী এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ তারেক মোঃ আবদুল হান্নান বলেন অসামজিক কার্যকলাপের জন্য তিনি সর্তক রয়েছেন।  কোথাও এরকম কোন ঘটনা উদ্ভব হলে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়া হবে।