এম এম রাজামিয়া রাজু: সাতকানিয়াসহ সর্বত্রে মোটরসাইকেল চালানোর প্রচলন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিককালের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের সমীক্ষায় দেখা যায় অধিকাংশ মোটরসাইকেল আরোহী। জানা যায় দরকারী  অদরকারী সবাই মোটর সাইকেল নিয়ে রাস্তায় বের হয়। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি রাস্তা সংকোচন ও যানজটের কারণে  চাকরীজীবীরা অফিসে পৌঁছতে বাধার সম্মুখীন হয়। এরফলে তাদের  কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। তারা যথাসময়ে  প্রতিষ্টানে পৌঁছতে বাধ্য হয়ে মোটর সাইকেলে চড়তে  বাধ্য হয়। তাছাড়া  তারা মোটরসাইকেল চালানোর জন্য ভাল প্রশিক্ষণ ও নিয়েছেন। এরপর ও রাস্তায় অদক্ষ বাস ট্রাক ও পিকআপ চালকের  বেপরোয়া গাড়ী চালানোর

ফলে চাকায় পিষ্ট হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করেন। অপরদিকে পয়সাওয়ালা কিংবা সামর্থ্যহীন যুবকদের মধ্যে মোটরসাইকেল চালানোর প্রতিযোগিতা বেড়ে গেছে। তারা উদ্দেশ্যবিহীন ভাবে এলাকায় ঘোরাফেরা করে বলে সূত্রেপ্রকাশ। তারা নিজকে বাহবা দেখাতে গিয়ে হাইস্পীডে গাড়ী চালাতে গিয়ে বড় গাড়ীর চাপায় পড়ে মারা যাচ্ছে। তাদের যেমন নেই প্রশিক্ষণ তেমনি নেই ইনকাম। অনর্থক গাড়ী নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি লোকজনের  সাথে তর্ক বিতর্কে লিপ্ত হয়। এমন কি সংর্ঘষে ও জড়িয়ে পড়ে।  তাদের মধ্যে কেউ কেউ  অপকর্মে জড়িত। ইয়াবা সেবনকারী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে। মোটরসাইকেল আরোহী বৃদ্ধি পাওয়ায় মোটর সাইকেল চোরের উপদ্রব  বেড়েছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের কোন না কোন স্থানে মোটরসাইকেল চুরি হয়। সম্প্রতি দোহাজারী এলাকা থেকে পুলিশ  মোটরসাইকেল ও অস্ত্রসহ ৩ যুবককে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে চন্দনাইশ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। তাদের কোন আয়ের পথ না থাকলে নেতা পরিচয়ে এলাকায় ঘোরাঘুরি  করে।  জানা যায় এসব বখাটেরা  চুরি চামারি ও ছিনতাই করে স্কুটার চালিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে। এছাড়া  মোটরসাইকেলের মাধ্যমে ইয়াবা ট্যাবলেট পাচার করে বলে জানা যায়।  তারা পথঘাটে হাবভাব দেখায় আলালের ঘরের দুলাল । অথচ দুমুঠো ভাতের নাগাল পায় না। জানা যায় কর্মীজীবীদের চুরিকৃত মোটর সাইকেল সস্তা দামে কিনে তারা পয়সাওয়ালার ছেলে বনে যায়। সূত্রমতে চোর’রা চোরাই মোটরসাইকেলের পার্টস ও রঙ পাল্টিয়ে  আরেক চোরের কাছে বিক্রি করে। এতে চোরদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠে।এক পর্যায়ে  তারা সিন্ডিকেট গড়ে তুলে অপরাধের গন্ডি বাড়িয়ে দেয়। তাদের মোটর সাইকেলের দৌরাতœ্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনা নিত্যসঙ্গী হয়েছে।  অপরাধীদের মোটর সাইকেল রোধ করতে হবে। তাছাড়া গাড়ীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা  সংশ্লিষ্ট বিভাগকে  নজরদারির  উপর গুরুত্ব দিতে হবে। এতে সুফল বয়ে আসবে বলে সচেতন মহলের ধারণা।