এম এম রাজা মিয়া রাজু: সাতকানিয়ার কাঞ্চনায় এবার ঈদে যুবকরা নতুন ফ্যাশন বের করেছে। জানাযায় খোলা পিকআপে সাউন্ড বক্স বসিয়ে গান বাজনা করে তারা কাঞ্চনা থেকে কক্সবাজার যাচ্ছিল। আনন্দের ছলে একজন গাড়ী থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তার নাম মোঃ মুছা (১৪)। সে  ৫ মে লোহাগাড়ায় গাড়ী থেকে পড়ে যায়। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃতুবরণ করে। সে কাঞ্চনার মনু ফকিরহাট এলাকার জসিমের ছেলে।
এ প্রথা সাতকানিয়ায় আগে ছিল না। হঠাৎ করে এ সংকটময় পরিস্থিতিতে

এলাকায় স্বাভাবিক আনন্দে মেতে না উঠে মৃত্যুর ঝ্ুিক নিয়ে উচ্চ স্বরে গান বাজনা করে তারা কক্্রবাজার রওয়ানা দেয়। ্আনন্দে দিশেহারা হওয়ার ফলে তার অকাল মৃত্যু হয়েছে। এ দায়ভার কারো উপর বর্তায় না। কেউ নিতেও চায় না। তাদের এমন কান্ড এলাকার জন্য অশনি সংকেত। কারণ এখানে শিক্ষার্থী রয়েছে।  তারা গাড়ী নিয়ে উচ্চ স্বরে সাউন্ড দিয়ে গ্রামের মেঠো পথ ও আরাকান সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় শব্দ দূষন হয়েছে। এতে সবার কাজে ব্যাঘাত  ঘটেছে বলে জানা গেছে। তাছাড়া এসব ছেলেদের তো কোন আয়ের পথ নেই।
তাদের এ খরচ কে যোগান দিয়েছে তাও  প্রশ্ন হয়ে দাড়িঁয়েছে। সূত্রমতে যদি তাদের অভিভাবক খরচের ব্যবস্থা করে তাহলে তিনি ভেবে দেখেছেন ছেলে কোন দিকে পা দিয়েছে। সত্যিই যদি তিনি করে থাকেন তাহলে এ দায়ভার তার উপর বর্তাবে। এসব ছেলের ফলে অন্য ছেলেদের চরিত্র অবক্ষয় ঘটার আশংকা দেখা দিয়েছে। এটা সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করা উচিৎ। আনন্দ উৎসবের বহু ধরন রয়েছে। যা এলাকা ভিত্তিক কিংবা উপজেলার আনাচে কানাচে উপভোগ করা যায়। যেসব সংস্কৃতি সভ্য জগতে প্রচলন রয়েছে।
এসব সংস্কৃতির দ্বারা উৎসব করলে নেই কোন মৃত্যুর ভয় ও বাধা বিপত্তি। এ কুসংস্কার থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ভূমিকা রাখতে হবে নিজ অভিভাবককে। তাহলে কাউকে বিপদের সম্মুখীন হতে হবে না। এদিকে সাতকানিয়া ব্যতীত আর ও কয়েক স্থানে ঈদের সময়  খোলা পিকআপে সাউন্ডবক্্র লাগিয়ে বখাটে যুবকরা গান বাজনা করেছে বলে জানা গেছে। এব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ও হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।