এম এম রাজামিয়া রাজু: সাতকানিয়ায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজাকার বংশধরের  তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে চোখে পড়ার মত। স্বাধীনতা বিরোধী বংশধরের  উত্তরসুির  আওয়ামীলীগ থেকে প্রার্থী হবার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের নিকট যোগাযোগ করে পোষ্যপুত্র  বনার তদবীরে ব্যস্ত রয়েছে বলে সূত্রেপ্রকাশ। ইতিমধ্যে অনেকে চট্টগ্রাম ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে নিজের ছবি সম্বলিত  শুভেচ্ছা জানিয়ে এলাকায় ডিজিটাল ব্যানার সাঁটিয়েছে। এসব বড় বড় পোষ্টার দেখে প্রকৃত আওয়ামীলীগ ও লোকজনের মধ্যে হাস্যকর ব্যাপার হয়ে দাড়িঁয়েছে। এসব  ব্যানার সম্বলিত লোক  কখনো  আওয়ামী সংগঠনের সাথে জড়িত ছিল না বলে এলাকায় জনস্বীকৃতি রয়েছে। তারা কালো টাকার বিনিময়ে  ত্যাগী  আওয়ামীলীগ নেতাকে কোনঠাসা করে  দলে অনুপ্রবেশ করে।  এমন নজির  সাতকানিয়ায়  রয়েছে। যারা ছাত্রলীগের  রাজনীতি থেকে জড়িত এমন লোক ও গত নির্বাচনে নৌকার মার্কা পায়নি। তার বদলে পেয়েছে রাজাকার বংশধর। এছাড়া রয়েছে জামাত ও ডাকাতি ও হত্যা মামলার আসামী। তারা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে চলেছে। এসব লোকের ব্যাপারে কারো বলার অপেক্ষা রাখে না। তাদের বংশধরের  ইতিহাসের পাতা উল্টালে তাদের প্রকৃত তথ্য বের হয়ে আসবে বলে সকলের ধারণা। সূত্রমতে হাইবিড আওয়ামীলীগ ও টাকার লোভী  নেতারা  রাজাকার বংশধরের  পক্ষ অবলম্বন করে তাদের নৌকার টিকিটে নির্বাচনে প্রার্থী করায়। তারা নৌকা মার্কায় নির্বাচিত হয়ে জামায়াত বিএনপি’র নেতা কর্মীদের পক্ষ অবলম্বন করে কাজ করেন বলে এমন অভিযোগ ও এলাকায় রয়েছে। সূত্রমতে কালিয়্ইাশের জনৈক চেয়ারম্যান ছিলেন জামায়াত সমর্থিত। তার পুরো পরিবার জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি গত ইউপি’ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ ফাঁেক মুক্তিযোদ্ধা বনেছেন। তিনি যে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছেন এমন নজির এলাকায় কারো জানা নেই। এদিকে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু’র কন্যা শেখ হাসিনার ঘোষণা তার দলে কেউ যোগদান কিংবা দল থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে তার পরিবার ও বংশের ইতিহাস  যাচাই  বাছাই করার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু তার ঘোষণা মতে সাতকানিয়ায় প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়নি বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। এদিকে একটি সুসংগঠিত বৃহৎ দলকে  হাইবিড  আওয়ামীলীগ’রা ব্যবহার করে নিজের আখের গোছানোর তালে লিপ্ত রয়েছে। এসব চেয়ারম্যান সরকারের দুর্নাম রটানোর লক্ষ্যে  গ্রামীণ  অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত সিংহ ভাগ টাকা আতœসাৎ করে বলে জানা যায়। সুতরাং সামনের ইউপি’ নির্বাচনে দলের ত্যাগী লোকদের মনোনয়ন দেয়ার জন্য তৃনমূল নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগের হাইকমান্ডের দৃষ্টিআর্কষন করেছেন।