শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১ ১২:১০ এএম
দক্ষিণ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: ওরা হাতে গোনা কয়েকজন ইটভাটার মালিক সাতকানিয়ার পরিবেশ ধ্বংসকারী ও মাটি খেকো বলে এলাকায় সুখ্যাতি রয়েছে। তারা সাতকানিয়ার চাষের উপযোগী জমি ও পাহাড় কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে। তারা পেশি শক্তি ও অবৈধ টাকার জোরে আইনকে গাইন করে চলে। আর এ সুযোগে তাদের পক্ষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দালালী করেন কালিয়াইশ ইউনিয়নের সেলিম নামে এক ব্যক্তি। তিনি ইতিপূর্বে নগরের একটি প্রতিষ্টানে চাকুরী করেছিলেন। অপকর্মে বেশী টাকার লোভে শহর ছেড়ে গ্রাম এসে মানুষের প্রতিনিয়ত ক্ষতি করে চলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে সাতকানিয়ার ২টি ইটভাটা থেকে পর্যায়ক্রমে বেড়ে এখন প্রায় ৭০টি মত হয়েছে। এতে ও তারা থেমে থাকেনি। নতুন নতুন ইটভাটা গড়ে তুলছে। এসব পরিবেশ ধ্বংসকারী মাটি খেকো’রা সাতকানিয়াকে সাগরে পরিণত করছে। এতে কৃষক ও এলাকাবাসীর প্রশ্ন মানুষ কি ইট খেয়ে বাচেঁ নাকি ভাত খেয়ে বাচেঁ। যদি সাতকানিয়ার কৃষকরা ধান ও সবজির চাষ উৎপাদন করতে না পারে তাহলে মানুষ কি খেয়ে বাচঁবে সেই প্রশ্ন এখন জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে। সাতকানিয়ার ৪ লক্ষ অধিবাসী যদি তারা ক’জন মাটি খেকো’র জন্য অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হতে পারে না। কারো অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি করা কারো কাম্য না। জানা যায় এসব ইটভাটার মালিকের মধ্যে অধিকাংশ ছিল অর্থশূন্য (অসচ্ছল)। তাদের মধ্যে কেউ দারোয়ানের ছেলে কেউ কয়লা মিস্ত্রীর ছেলে কেউ চৌকিদারের ছেলে অন্য কেউ টেক্্রী চালক। তারা এখন ইটভাটা করে অঢেল সম্পদের মালিক বনে যায়। যাদের এক সময় নুন আনতে পানটা ফুরার অবস্থা ছিল। এসব ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স নাই বলে জানা গেছে। তারা একঅদৃশ্য কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ এসব অবৈধ ইটভাটায় ধানী জমির মাটি ও বনের গাছ কেটে পুড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের ইটভাটার কালোা ধোয়াঁয় আকাশ আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। ফলে এলাকার মানুষ রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। উল্লেখ্য লোকালয়ে ইটভাটা গড়ে তোলা আইনি নিষেদ্ধ থাকলে ও তা তারা পরোয়া করে না। এসব মাটি খেকো’রা ঘরবাড়ীর পাশাপাশি স্কুল কলেজ ও মাদরাসা সংলগ্ন এলাকায় ইট ভাটা গড়ে তুলেছে। এছাড়া ২/৩ জন ইটভাটার মালিক কেরানীহাটে সরকারী জায়গা দখল করে বানিজ্যিক ভবন নির্মাণ করে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ভাড়া গুনছে। এসব পরিবেশ বিধ্বংসকারী মাটি ও গাছ খেকোদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষে হাই একটি রিট করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় অবৈধ ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়। পর্যায়ক্রমে অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সাতকানিয়ায় এ পর্যন্ত ১২/১৩ ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বাদবাকী গুলো এখনো কার্যক্রম চলছে বলে জানা গেছে। সূত্রমতে কলেজ রোডে ফোর বি এম ইটভাটা ভ্রাম্যমান আদালত গুড়িয়ে দেয়ার আবার ও চালু করেছে।
সাবস্ক্রাইব ইউটিউব চ্যানেল
লাইক ফেইসবুক পেইজ
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিম্ন আয়ের মানুষ ও হাসপাতালের রোগী এবং স্বজনদের জন্য ব্য... বিস্তারিত
ছৈয়দ মোহাম্মদ অলিদুল হুদা ওয়ালিদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধি: দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যব... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি'... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী পতেঙ্গা থেকে সীতাকু- প... বিস্তারিত
এমএম রাজা মিয়া রাজু: সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধির উপর সাতকানিয়ায় গতকাল শনিবার বিকা... বিস্তারিত
দক্ষিণ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: সরকারী নির্দেশনা না মেনে সাতকানিয়ায় লকডাউনে দোকানপাট খোলা রেখে বিকি... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: আজ ১৫ এপ্রিল, ২০২১ তারিখ বিকাল ৩ টায় বিজিএমইএ আঞ্চলিক কার্যালয়, বিজিএমইএ ভবন, চট... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর বরিশাল, বগুড়া ও খুলনা জোনের ত্রৈমাসিক ব্যবস... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিম্ন আয়ের মানুষ ও হাসপাতালের রোগী এবং স্বজনদের জন্য ব্য... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বাংলাদেশে বৈশ্বিক মহামারী করোনা সংক্রমনের ক্রমবর্ধমান উর্ধ্বগতির কারণে উদ্ভ... বিস্তারিত