দক্ষিণ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: সাতকানিয়ার খাগরিয়ায় এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত বেলাল উদ্দিনের স্ত্রী শিরিন বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার থানায়  ৩০ জনকে এজাহার নামীয় ও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।  
আসামীদের মধ্যে জাহেদকে ঘটনার পর দিন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবশিষ্ট  আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সন্ত্রাসী খুন খারাবী ডাকাত ও মাদকের  জনপদ নামে খ্যাত খাগরিয়ায় কিছু দিন পর পর একেকটি ঘটনা সৃষ্টি করে। তাদের এসব কার্যকলাপে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠে। খুন খারাবী তাদের জন্য নতুন কিছু নয়।   মানুষ হত্যা তাদের জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার। এক সময় খাগরিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর  ৪/৫ জন মানুষ খুন হত। মাঝখানে স্থিতিশীল থাকলেও  ফের এলাকা আবারও  উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। জানা যায় নদী পরিবেষ্টিত খাগরিয়ার লোকজন এলাকায় তিলকে তাল করে চলে।
নিজের স্বার্থের জন্য তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মানুষ খুন করতে দ্বিধা বোধ করে না। তাদের হাত থেকে বাদযায়নি তৎকালীন চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম আমিন। তাকে  সন্ত্রাসী ও ডাকাতেরা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। সূত্রমতে সম্প্রতিকালের উদ্ভবত  ঘটনার মূল হোতা ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আবদুস ছালাম প্রকাশ  আবদু।  সে নূরু মাার্কেট এলাকায় দিন রাত অবস্থান করে সন্ত্রাসীদের নিয়ে গ্রুপ করে একেক সময় একেকটি ঘটনা সৃষ্টি করে চলেছে।  
কিন্তু থেকে যায় ঘটনার আড়ালে। এলাকার বেকার যুবক সন্ত্রাসী বখাটে ভবঘুরে রাজনীতিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে শান্তির জনপদ অশান্ত গড়ে তোলায়  তাদের মূল লক্ষ্য। কারণ ঘটনা ঘটাতে পারলে তাদের ভাল ইনকাম হয়। এতে তাদের পরিশ্রম করতে হয় না। এছাড়া তাদের টার্গেট কর্মজীবী মানুষ। তাদেরকে  ভবঘুরে’রা বিপদে ফেলে ব্যবসায়ী মনা এলাকার পাতি নেতাদের ব্যবহার করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।
তারা বিলাসী কাল যাপন করলেও আর্থিক ক্ষতির শিকার হয় খেটে খাওয়া মানুষ।  এদিকে নিহত বেলাল ৪নং ওয়ার্ড মোহাম্মদ খালীর কুখ্যাত ডাকাত আবদু শুক্কুর  প্রকাশ শুক্কুরগ্যা ডাকাতের স্ত্রী রোজী আকতারকে প্রেম করে বিয়ে করে। জানা যায় ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেলালের লোকজন প্রতিপক্ষের ঘরবাড়ী দোকান ভাংচুর লুটপাটসহ মারধর করছে।