নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রামে ফ্লাইওভারের পাশের দোকানগুলো ভাঙ্গছে, আতঙ্কে দোকানীরা….!!!

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: দোকান মালিক ও ভাড়াটিয়াদের কোনো প্রকার নোটিশ করা ছাড়াই নগরের এক কিলোমিটার এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের পাশে ব্যক্তি মালিকানাধীন দোকানগুলো চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নগরে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় খাল সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে দোকানগুলো ভাঙা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তারা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দোকানগুলো তৈরী করে। নিয়মিত ভাড়াও পরিশোধ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। খাল সম্প্রসারণের জন্য ভাঙার কবলে পড়লেও দোকানের প্রায় ১০/১২ জন ব্যবসায়ীকে চউক পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।
স্থানীয় সূত্র জানাচ্ছে, আশপাশের বেশকিছু বাড়িঘরও পড়ছে ভাঙার মধ্যে। কিন্তু সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন বা সহায়তায় এগিয়ে আসছে না চউক কিংবা অন্য কোন সংস্থা।
এক দোকানের মালিক মুহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, এক কিলোমিটার এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের পাশে আমার ছোট্ট একখানা দোকান। পরবর্তীতে আমরা দুইজনে মিলে ২ গন্ডা ২ কড়া দোকান জায়গা খরিদ করি। ইতোমধ্যে ২০১৩ সালে আমাদেরকে দোকান ভাংগানোর নোটিশ জারি করেন। তারপর নোটিশ পাওয়ার পর আমরা এলএ শাখাতে যোগাযোগ করি। মামলা শুনানী নিয়ে আমাদের টাকাগুলো আমরা বুঝিয়ে পায়নি। তারই মাঝে গত ২০২৪ সালের ১৩মার্চ একজন মানুষ এসে বলে তোমাদের এই দোকান পাট ভাঙতে হবে। আমি তাদের নিকট আবেদন করলাম, দেখেন স্যার আমরা পূর্ব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত। আপনারা যদি আবারও ভাংগেন, সমস্যা নেই। ব্রীজ, রাস্তা, নালার পর আমার দোকান তা হলে আপনি আমাকে বলেন কতটুকু ভাংগবেন এবং নোটিশ আশাবাদী। স্যার আমাকে বলেন, কোন নোটিশ নেই, দুইদিন পর ভেঙে দেব। সাথে আর্মি, ডিবি, ইঞ্জিনিয়ার, সিডিএ ও সাপ্লায়ারও ছিল। তাবে আর্মির একজন লোক একটা কথা বলেছেন, লোকটি কথাটা ঠিক বলেছেন। অন্যান্য লোকেরা তা অমান্য করে ভাংতে শুরু করেন। এগুলো নিয়ে আমি কার কাছে শরণাপন্না হব।
অন্য আরেক দোকানী বলেন, তিলে তিলে গড়া সঞ্চয় দিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছি। দোকান ভাঙা হলে তো পথে নেমে ভিক্ষা করা ছাড়া উপায় থাকবে না। সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের রক্ষায় এগিয়ে আসছে না চউক।
আরেক দোকানদার ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ধার করে দোকানের ডেকোরেশন করেছি। এখন ভেঙে দিলে সংসার চালানোর একমাত্র সম্বল শেষ হয়ে যাবে। আমাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করুক, না হয় আমাদের পুনর্বাসন করতে হবে।

মন্তব্য করুন