এম এম রাজা মিয়া রাজু: আসন্ন  সাতকানিয়া পৌর সভা নির্বাচনে মেয়র পদে ভোট অনুষ্টিত না  হওয়ায়  ভোটার’রা  উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে কারণ যে কোন নির্বাচনে ভোটারদের আকর্ষণ থাকে  প্রধান পদে। যেহেতু একটি পরিষদ কিংবা বোর্ডের  সভাপতিই সর্বেসর্বা।  সভাপতির নেতৃত্বে  সব কিছু পরিচালিত হয়। সাতকানিয়া পৌর সভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন আওয়ামীলীগ থেকে বর্তমান মেয়র মোঃ জোবায়ের  আর বিএনপি থেকে ছিলেন এডভোকেট এজেড এম মঈনুল হক চৌধুরী খোকন। কিন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন  খোকন সবাইকে তাক লাগিয়ে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। এতে ফাঁকা মাঠে বিজয়  হয়েছেন মোঃ জোবায়ের। ফলে তাকে আর নির্বাচনী মাঠে নামতে হচ্ছে না। এক্ষেত্রে তার নিজ দলের কতিপয় লোক তুষের আগুন জ¦লছে। কারণ এরকম ফাঁকা মাঠে   মনোনয়ন প্রত্যাশীরা  জয়ী হতে বেগ পেতে হত না বলে জানা গেছে। এ সুবর্ণ সুযোগ  বার বার আসে না। এদিকে বিনা প্রচারনায় মেয়র হতে পেরে খুশিতে আহ্লাদ  জোবায়ের। বিনা  নির্বাচনে  মেয়র নির্বাচিত  হওয়ায় তিনি ফুলে ফুলে সিক্ত হতে চলেছেন। তবে বিএনপি’র অসময়ে দল ত্যাগী খোকন হঠাৎ কোত্থেকে এসে প্রার্থী হয়ে দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার নিয়ে কেউ বলছেন আর্থিক সুবিধা  নিয়ে তিনি কাজটি করেছেন। আর কেউ বলছেন নিজ আখের গোছানোর লক্ষ্যে  আওয়ামীলীগের  পোষ্য পুত্র হয়ে বিএনপি’র দুর্নাম রটিয়েছেন।  তিনি বলছেন  প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি’র একাংশ তার  বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন।  ঘরের শত্রু বিভীষণ হলে ঠিকে থাকা বড় দায়। তাই  তিনি সরে পড়েছেন। সূত্রে  প্রকাশ তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে ও জয়ের মুখ দেখতেন না। কারণ  ভোল পাল্টানো  লোককে এলাকার লোকজন পছন্দ করে না। তিনি যে আগে বাগে  মাঠ থেকে সরে পড়েছেন তার জন্য ভালই হয়েছে । না  হয় কত ধানে কত চাল আর  বুঝার বাকী থাকত না।  মেয়র  পদে প্রচারণা না থাকলে ও  কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা জোরে সোরে চলছে। এবার ৯ পদে ৪৫ জন কাউন্সিলর (পুরুষ)  ও ৩ পদে  ৮ কাউন্সিলর  (মহিলা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।