এম এম রাজা মিয়া রাজু: আসন্ন সাতকানিয়া পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মঞ্চে  একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত  প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে কাউন্সিলর পদে লড়াই হলে ও মেয়র পদে সম্ভাবনা নেই। এর একদিন পর ২৬ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন বিএনপির মনোনীত মেয়র  প্রার্থী এডভোকেট এজেডএম মঈনুল হক চৌধুরী খোকন তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। একদিনের ব্যবধানে চট্টগ্রাম মঞ্চে প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা পাওয়া যায়। জানা যায় যিনি বিএনপি থেকে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন তিনি কোন দলে স্থায়ী হতে পারেননি। একেক সময় একেক দলে ভিড়ে যায়। তার এই রাজনৈতিক কর্মকান্ডে এলাকার সাধারণ মানুষ তার উপর আস্থা রাখতে পারেনি। এদিকে সাতকানিয়া বিএনপির সাথে বৈঠক না করে কতিপয় নেতা তাকে সাতকানিয়া পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী করেন। তাদের সহযোগিতায় তিনি ১৭ জানুয়ারি বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। তিনি মনোনয়ন পত্র দাখিল করার পর সাতকানিয়ার একাংশ বিএনপি ২৪ জানুয়ারি উপজেলা গেইটে তার বিরুদ্ধে  মানববন্ধন করে। একাংশের দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে বয়কট করার ঘোষণা দেন। তারা এসময় বলেন তিনি বিএনপির কেউ না। তিনি হলেন এলডিপি নেতা। এমনিতে তার অবস্থা এলাকায় নড়েবড়ে । তাছাড়া বিএনপির একাংশের দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে বয়কট করার খবরে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েন। তবে অন্য এক সূত্রে প্রকাশ তিনি এখন বিএনপি ও এলডিপি ছেড়ে ক্ষমতাসীন দলে যাওয়ার সুযোগ খুঁজছে। তারই ধারাবাহিকতায় চার আওয়ামীলীগ নেতার শলাপরামর্শে তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য একটি রেস্টুরেন্টে বৈঠকের ছবিতে দেখা যায় মঈনুল হক চৌধুরী খোকন চার আওয়ামীলীগ নেতার মধ্যে অবস্থান করেছেন। দলীয় সূত্রে প্রকাশ তিনি ব্যক্তিগত কিংবা দলীয় কারণে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন। তিনি আখের গোছানোর উদ্দেশ্যে তার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় এলাকায় জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সূত্রমতে ব্যক্তির আদর্শ নীতির উপর এলাকার লোকজনের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। কোন অদৃশ্য কারণে কেউ দলীয় নেতা সেজে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্ব করতে চাইলে তা সম্ভব হয় না। উল্লেখ্য হাইব্রীড নেতাদের এলাকায় কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই বললেই চলে। মঈনুল হক খোকন তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় আওয়ামীলীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোঃ জোবায়ের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাতকানিয়ার মেয়র হলেন। ভোট নিয়ে তার মনে যে শঙ্কা ছিল তা এখন কেটে গেছে। তিনি এখন র্নিদ্বিধায় নিশ্চিন্তে ঘোরাফেরা করবেন।