এম এম রাজামিয়া রাজু:  হাইব্রিড আওয়ামীলীগ যুবলীগ ও রাজাকার বংশধর সাতকানিয়া গিলে খাচ্ছে বলে জানা যায় । তারা ক্ষমতাসীন দলের  প্রতি অতি ভক্তি দেখিয়ে নিরীহ মানুষের জায়গা জমি দখল  বৈধ ও অবৈধ ব্যবসা থেকে প্রভাব খাটিয়ে প্রতি মাসে প্রায় ২ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে বলে অভিযোগ উঠেছে। যারা এসব অপকর্ম করছে তারা কখনো আওয়ামীলীগ সংগঠনের সাথে জড়িত ছিল না। বরঞ্চ তারা জামায়াত দলীয় লোক হিসেবে এলাকায় সুপরিচিত। এমনকি তারা এলাকায় ও ছিল না। এ সরকার বার বার ক্ষমতায় আসার সুযোগে এসব সুযোগসন্ধানী জামায়াত ও

রাজাকারের বংশধর দলে উড়ে এসে জুড়ে বসে মানুষের সম্পদের উপর ভাগ বসিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যায়। অবৈধ টাকায় গাড়ি বাড়ি করে বিলাসী জীবনযাপন করে যাচ্ছে। অথচ তারা খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এসব হাইব্রিড আওয়ামীলীগ  স্বার্থ হাসিলের জন্য এলাকায় অস্ত্রবাজি করে। সূত্রমতে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৪৯ বছর অতিবাহিত হতে চললে ও তারা কখনো আওয়ামীলীগ অঙ্গসংগঠনের সদস্য কিংবা দলে সক্রিয় ছিল এমন নজির কোথা ও খুঁজে পাওয়া যাবে না। সাতকানিয়ায় আওয়ামীলীগ সংগঠনে সুদীর্ঘকাল যারা জড়িত ছিল তাদের সবাই চিনে। বিভিন্ন সময়ে গঠিত কমিটিতে তাদের নাম রয়েছে।  এদের মধ্যে অনেকে মৃত্যুবরণ করেছে। আবার কেউ অবহেলিত । এসব হাইব্রিড ও অবৈধ সম্পদশালীদের কাছে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতারা হিমশিম খাচ্ছে। উল্লেখ্য তৃণমূল থেকে নেতা  গড়ে উঠে। এসব নেতারাই মানুষের সুখ দুঃখের কান্ডারী হয়। আর যারা দলের উড়ে এসে জুড়ে বসে তারা স্বার্থের নেশায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করে। সাতকানিয়ার অবস্থা অনুরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেখা যায় হাইব্রিড আওয়ামীলীগ যুবলীগ নেতারা যে কোন ধর্মীয় উৎসবে শুভেচ্ছা জানিয়ে এলাকায় পোস্টার ছিটায়। জামায়াত ও রাজাকার বংশ থেকে দলে অনুপ্রবেশকারী সনাতন ধর্মতে ও শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টার ছাপিয়ে এলাকার লোকজনের মধ্যে বিরূপের সৃষ্টি করে। এতে লোকজনের প্রতীয়মান হয় অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন যেখানেই দুর্নীতি সেখানেই নিরাপত্তা বাহিনীর  অভিযান চলবে। তার কথায় সাতকানিয়ার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ আশায় বুক বেঁধেছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সাতকানিয়ায় এরকম অবস্থা সৃষ্টি হয়নি বলে এলাকার লোকজন সূত্রে প্রকাশ। অনুপ্রবেশকারী এসব হাইব্রিড কথিত নেতাদের কর্মকান্ডে একটি সুসংগঠিত ও পরিচ্ছন্ন দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলেছে।  সময় থাকতে তাদেরকে দমন করা না গেলে সাতকানিয়ার পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।