এম এম রাজামিয়া রাজু: প্রাণঘাতি করোনার ২য় ঢেউ শীত মৌসুমে ছড়িয়ে পড়বে আগে থেকে সতর্কবার্তা ছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। শীত শুরুর আগে বাতাসে ক্ষতিকর উপাদানের মাত্রা বেড়ে যায়। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ৫ম স্থানে।  এ ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হলে ও সাধারণ মানুষের মধ্যে টনক নড়ছে না। ফলে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ করোনা সংক্রমণ ৫ম স্থানে পৌঁছে। সরকার এ মরণব্যাধি করোনা থেকে আগামী দিনের প্রজন্ম শিক্ষার্থীদের রক্ষা করার জন্য এখনো পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলেনি। তবে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে কর্মস্থানে কাজ করার সুযোগ দেয়। এতে প্রতিটি কর্মস্থলে হাট বাজার ও গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা রয়েছে। সরকার করোনার উপর শিথীল হওয়ার পর থেকে অধিকাংশ মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় কিংবা মাস্ক পরা কোন গুরুত্বই দেয়নি। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তি হাটবাজার ও গণপরিবহনে মাস্কবিহীন লোকদের মাস্ক পরিধান করার জন্য অনুরোধ করলে তারা আরো উল্টো বেঁকে বসে। অনেকে তর্কে বিতর্কে লিপ্ত হয়। দেয় ধর্ম ও ঈমানের দোহাই। অথচ সে ধর্মের কাছে ও নেই। এসব লোকদের কারণে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে। এখন করোনা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়াতে সরকারের নির্দেশনায় প্রশাসন তৎপর হওয়ায় স্বাস্থ্য অসচেতন ব্যক্তিরা মাস্ক কিনতে দোকানে ভিড় জমাচ্ছে। এ সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা মাস্কের মূল্য বৃদ্ধিতে নড়েচড়ে বসে। সূত্রমতে মানুষ সুরক্ষা থাকার জন্য নিরাপদ মাস্ক ব্যবহার করে। সেক্ষেত্রে অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল মাস্ক উৎপাদন করে বাজারজাত করছে। একদিকে মানুষ রোগব্যাধি থেকে বাঁচার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছে অন্যদিকে অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল মাস্ক ও ওষুধ সরবরাহ করে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই  অর্থ লোভী ব্যবসায়ীদের ফলে সাধারণ মানুষের জীবন নাভিশ^াস হয়ে উঠে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা  এ অপকর্ম করার সাহস কোত্থেকে পায় বলে জনমনে প্রশ্ন হয়ে দাড়িঁয়েছে। তাদের আশ্রয়প্রশ্রয় দেয়ার রাঘব বোয়াল রয়েছে। এসব রাঘব বোয়াল তাদের থেকে ফায়দা লুটে। এর ফলে নকল পণ্যদ্রব্য রোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য চলতি মাসের মার্চ মাস থেকে করোনার প্রভাব বিস্তার  করে। এ কথা সকল সবাই জানে। এ রোগের আবির্ভাব হওয়ার পর থেকে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসকের অভাবে চিকিৎসা করা দুঃঅবস্থা হয়ে পড়েছিল। কিন্তু সরকারের কঠোর উদ্যোগের ফলে চিকিৎসকেরা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে বাধ্য হয়। এরপর ও স্বাস্থ্য অসচেতন ব্যক্তিরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে চরম উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে। এ প্রথা গ্রাম শহর সমান তালে চলছে।