এম এম রাজামিয়া রাজু: চট্টগ্রামে করোনার সংক্রমণ দ্বিতীয় ধাপে পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২ দিন আগে চট্টগ্রামে রেকর্ড পরিমাণ রোগী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১শ’৮১ জন। কিন্তু পূর্ব থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আভাস ছিল শীত মৌসুমে করোনার প্রার্দুভাব বাড়বে। তবে শীত আগমন হওয়ার পূর্বেই প্রাণঘাতি করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। করোনা ২য় ধাপে বৃদ্ধি পাওয়ার আভাসে সরকার মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করে। বলা হয়েছে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নো মাস্ক নো সার্ভিস। এরপর ও অধিকাংশ মানুষের টনক নড়েনি। কার কথা কে শুনে। যে রোগে মানুষ আক্রান্ত হলে চিকিৎসকসহ সাধারণ মানুষ শংকিত হয়। করোনায় জটিলভাবে আক্রান্ত হলে বাঁচানো মুশকিল। এরপর ও মরণব্যাধি করোনাকে মানুষ ভয় পাচ্ছে না। প্রাণঘাতি করোনায় ১ম দফায় সহ¯্রাধিক লোকের মৃত্যু ঘটে। সরকারের নির্দেশনা ছিল স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষ চলাফেরা করবে। এ নির্দেশনা কোথাও মানা হচ্ছে না। গণপরিবহনে গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এ সংক্রমক করোনা রোধে সরকারের নির্দেশনায় প্রশাসন এখন নড়েচড়ে বসেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন স্থানে ইতিমধ্যে মাস্ক বিহীন ব্যক্তিদের জরিমানা করেন। দেখা যায় সাতকানিয়ার প্রায় স্থানের মানুষ মাস্কবিহীন।এছাড়া হাট বাজার মার্কেট ও গণপরিবহনে স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তিদের সাথে কতিপয় বর্বর কিংবা মূর্খ ব্যক্তি মাস্ক পড়া নিয়ে তর্কে বিতর্কে লিপ্ত হয়। এসব লোকের অসাবধানতা কিংবা মূর্খতার কারণে এ রোগের সংক্রমণ হচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ দোহাই দেয় ঈমানের উপর। অথচ যে এ কথা বলছে সে ধর্মের ধারে কাছেও নেই। ¯্রফে এসব মুখের বুলি। পথে ঘাটে অধিকাংশ লোক মন্দের পক্ষে সাফাই গায়। ফলে করোনা বৃদ্ধিসহ সব অপকর্মের অবতারণা ঘটছে। মানুষকে জীবনের তাগিদে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে হয়। এ কাজ করতে গিয়ে স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তি তাদের সংস্পর্শে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। উল্লেখ্য যেসব ব্যক্তি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাফেরা করে তাদের জেলজরিমানার ব্যবস্থা করা উচিত বলে সচেতন ব্যক্তিদের অভিমত।