সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:০২ এএম
নিউজগার্ডেন ডেস্ক, ২৪ নভেম্বর ২০১৯ ইংরেজী, রবিবার: হাটহাজারী পৌরসভার প্রশাসক কর্তৃক এলাকার নাগরিকদের ওয়ারিশ সনদ প্রদানে বে-আইনী ভাবে হয়রানীর অভিযোগে দায়েরী এক রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে রুল ইস্যু করেছেনে মহামান্য হাটকোর্ট।
হাটহাজারী পৌর এলাকার বাসিন্দা চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের আইনজীবী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এর দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানী গ্রহণ করে গত ২৮ আগস্ট বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মোঃ সোহরাওয়ারদী’র সমন্বয়ে গঠিত হাটকোর্ট বেঞ্চ এ রুল ইস্যুর আদেশ দেন। হাটহাজরী পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিন কর্তৃক বাদীর ওয়ারিশ সনদ পাওয়ার দরখাস্ত না মঞ্জুর করায়
তা কোন আইনী ক্ষমতা বলে না মঞ্জুর করা হয়েছে এবং কেন উক্ত না মঞ্জুর আদেশ বে-আইনী ও আইন সঙ্গত নয় মর্মে ঘোষণা করা হবে না তার জন্য সকল বিবাদীকে কারণ দর্শানোর আদেশ দেন।
গত ২৫ জুলাই মহামান্য হাটকোর্ট বিভাগে অ্যাডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম রিট (নম্বর- ৮৩২৯/২০১৯) পিটিশন দায়ের করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানী করেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মিন্টু কুমার মন্ডল। রাষ্ট্র পক্ষে শুনানীতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাইদী হাসান খান ও সাবিহা ইয়াছমিন।
মামলায় স্থানীয় সরকার সচিব, জন প্রশাসন সচিব, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিন এবং পৌরসভার সচিব সহ ৬ বিবাদীকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে উক্ত রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়াছেন আদালত।
রিট পিটিশনে পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নাগরিক সেবা প্রদানে চরম স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ আনা হয়। গত ১৩ ডিসেম্বর’-২০১৮ পৌর সহায়ক কমিটির ৫৪তম সভা পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর বশির আহাম্মেদ ও সহায়ক সদস্য মোঃ সাইদুল হক খোকন এলাকার নাগরিকগণ সহজে ওয়ারিশ সনদ ও বিভিন্ন প্রত্যয়ন না পাওয়ার অভিযোগ উত্থাপন করে প্রশাসকের মতামত দাবী করেন। প্রশাসক ওয়ারিশ সনদের জন্য নির্ধারিত ফরমে যথাযথ কাগজপত্র সহ আবেদন করলে সচিব ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর/সহায়ক সদস্য তদন্তক্রমে সঠিক পাওয়া গেলে ইস্যুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
রিট পিটিশনার অ্যাডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম গত ১১ ফেব্রুয়ারী তার নানী মরহুমা আলহাজ্ব ছাবেদা খাতুন এর ওয়ারিশ সনদ এর জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করেন। আবেদনে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন-২০০৯ এবং উক্ত আইনের নির্দেশ মতে প্রকাশিত সিটিজেন চার্টার অনুসারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তথা- জাতীয় পরিচয় পত্র, হোল্ডিং টেক্স পরিশোধের রশিদ এবং সেবার মূল্য বাবদ নগদে ৩০০ টাকা পরিশোধ করেন। আবেদনটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সোলায়মান তদন্ত করে ‘‘যাচাইক্রমে সঠিক পাওয়া গেল। আবেদনে উল্লেখিত ওয়ারিশ ছাড়া অন্য কোন ওয়ারিশ নাই। তাকে ওয়ারিশ সনদপত্র প্রদানের জন্য সুপারিশ করা হয়” মর্মে প্রত্যয়ন করেন। পৌরসভার সচিব আবেদনটির প্রাপ্তি স্বীকার পত্র দিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারী সম্ভাব্য বিতরনের তারিখ ধায্য করেন।
পৌর প্রশাসক ধার্য তারিখে আবেদনকারীকে ওয়ারিশ সনদ প্রদান না করে ১১ মার্চ শুনানীতে উপস্থিত থাকার জন্য আইন বহির্ভূত চাহিদা দিয়ে হয়রানী মূলক নোটিশ দেন। নোটিশে মরহুমা আলহাজ্ব ছাবেদা খাতুন আবেদনকারীর কোন সম্পর্কে নাতি সেটাও স্পষ্ট নয় এবং ওয়ারিশদের মৃত্যু সনদ/সন্তানদের স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রদান করার জন্য বলা হয়। আবেদনকারীর আবেদনে মরহুমা আলহাজ্ব ছাবেদা খাতুন সম্পর্কে তার নানী এবং মরহুমা ছাবেদা খাতুন এর ২ পুত্র মরহুম আলহাজ্ব এমদাদুল হক ও মরহুম সিরাজুল হক এবং ২ কন্যা মরহুমা আলহাজ্ব আলমাছ খাতুন ও মরহুমা আলহাজ্ব জয়নব খাতুন এর নাম উল্লেখ করেন। আবেদনে আবেদনকারীর আই.ডি সংযুক্ত করে মাতা মরহুমা আলহাজ্ব জয়নাব খাতুন এবং তৎ মাতা মরহুমা আলহাজ্ব ছাবেদা খাতুন উল্লেখ করে সম্পর্কে নানী হিসাবে বলা সত্ত্বেও পৌর প্রশাসক নানী-নাতির সম্পর্ক বুঝতে পারেননি। মরহুমা ছাবেদা খাতুন এর ওয়ারিশগণ বর্তমানে মৃত উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও তাদের স্ব-শরীরে শুনানীতে হাজির করতে অবান্তর আদেশ দেন।
আবেদনকারী পৌর প্রশাসকের আইন বহির্ভূত, অবৈধ নোটিশের প্রেক্ষিতে লিখিত জবাব দেন। জবাব পেয়ে গত ১৪ মার্চ পৌর প্রশাসক আবেদনকারীর ওয়ারিশ সনদের আবেদন না মঞ্জুর করে পত্র দিলে আবেদনকারী উক্ত রিট পিটিশন দায়ের করেন।
প্রচলিত আইন অনুসারে বর্তমানে দেশে ১২টি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৬০৫ জন ওয়ার্ড কমিশনার, ৩২৯টির মধ্যে হাটহাজারী পৌরসভা বাদে ৩২৮টি পৌরসভার মেয়র এবং ৪৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এলাকার নাগরিকদের ওয়ারিশ সনদ ইস্যু করে আসছেন। সিটি কর্পোরেশ এলাকায় মহল্লাদার, পৌর এলাকায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় মেম্বারগণের তদন্ত ও প্রত্যয়নের প্রেক্ষিতে কমিশনার, মেয়র ও চেয়ারম্যানগণ ওয়ারিশ সনদ ইস্যু করেন। হাটহাজারী পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর গত ১ অক্টোবর ২০১২ হতে ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত ৫জন সাবেক প্রশাসক ইসরাত জাহান পান্না, মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন, আফছানা বিলকিস, এস.আর. আরমান সাকিন ও আক্তার উননেছা শিউলী প্রচলিত আইন ও নীতি অনুসারে নাগরিকদের ওয়ারিশ সনদ ইস্যু করে সেবা দিয়েছেন। পৌর প্রশাসক হিসাবে মোহাম্মদ রুহুল আমিন গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ দায়িত্ব গ্রহণের পর হতে নাগরিকদের নানাভাবে চরম হয়রানী শুরু করে।
সাবস্ক্রাইব ইউটিউব চ্যানেল
লাইক ফেইসবুক পেইজ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় তার জামিন আবেদন পি... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ইংরেজী, মঙ্গলবার: বাশঁখালী উপজেলার উত্তর জলদি পৌরসভার কাউন্সি... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক, ২ ডিসেম্বর ২০১৯ ইংরেজী, সোমবার: চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজ উ... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক, ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ইংরেজী, বুধবার: হাটহাজারী পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থতা... বিস্তারিত
আলোচিত গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলা মামলায় আট আসামির মধ্যে সাতজনের মৃত্যুদ... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক, ২৫ নভেম্বর ২০১৯ ইংরেজী, সোমবার: দৈনিক ঢাকা টাইমস সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলনকে প্... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ইংরেজী, রবিবার: ইসলামী সমাজের উদ্যোগে জংগিবাদ, মাদক ও উগ্রতাসহ... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ইংরেজী, রবিবার: মহান বিজয় দিবস-২০১৯ উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা শ... বিস্তারিত
রাবি প্রতিনিধি, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ইংরেজী, রবিবার: পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্... বিস্তারিত
নিউজগার্ডেন ডেস্ক, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ইংরেজী, রবিবার: বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উ... বিস্তারিত