নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের পদ পেতে তৎপর ১৪০০

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: দীর্ঘ এক দশক পর নগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। নগর ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পেতে স্থানীয় রাজনীতির চলমান দুটি ধারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নিজেদের মত করে যোগাযোগ ও তদবির শুরু করে দিয়েছে তারা কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে। এরই মধ্যে পদপ্রত্যাশী ১ হাজার ৪০০ জন জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জীবন বৃত্তান্ত (সিভি) জমা দেওয়ার শেষ দিন গভীর রাত পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের। নগর ছাত্রলীগের কমিট্রি জন্য পদপ্রতাশী নেতাকর্মীদের মূলত দুটি শিবিরে বিভক্ত। একটি পক্ষ মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল অনুসারী অপর পক্ষ হলো মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন। চট্টগ্রাম আওয়ামী রাজনীতিতে দেড় যুগ ধরে এ দুটি ধারা চলে আসছে। আওয়ামী লীগের পর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো এই বিভক্তি এড়াতে পারেনি। এবার ছাত্রলীগ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে দুই ধারার পদপ্রত্যাশীরা তাদের নেতাদের আনুকূল্য পেতে চাইছেন। জানতে চাইলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান জানান, সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য পদপ্রতাশিরা জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছে। আমরা সবাইকে স্বাগত জানিয়েছি। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল। এখন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সম্মেলন কিংবা কর্মী সভা করার ইচ্ছা রয়েছে আমাদের। নগর ছাত্রলীগ কমিটির জন্য ইতিমধ্যে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বলয়ের প্রত্যাশিদের মধ্যে অনেকেই শীর্ষ দুইটি পদের জন্য জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছে। তাদের মধ্যে নগরের কলেজগুলোর পাশাপাশি থানা কমিটির নেতারাও তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম, হালিশহর থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আবদুর রহিম জিসান, সিটি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আকবর খান, পতেঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান হাবীব সেতু, ডবলমুরিং থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হায়দার, চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল আলম বাবু, মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য আরাফাত রুবেল, মোশাররফ চৌধুরী পাভেল, ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী মো. আসিফ আলভী, কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল আলম আলভী, সিটি কলেজ নৈশ শাখার ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আশীষ সরকার নয়ন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন প্রত্যাশিদের মধ্যে বাকলিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নগর ছাত্রলীগের উপসম্পাদক রাশেদ চৌধুরী এবং নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক শৈবাল দাশ, উপসম্পাদক ইমরান আলী মাসুদ, নাছির উদ্দিন কুতুবী, হুমায়ুন কবির আজাদ, ওসমান গনি, ফাহাদ আনিস ও কোতোয়ালী থানা মহানগর বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শামীমুর রহমান, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম রাকিব। প্রসঙ্গত, কেন্দ্র থেকে ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর ইমরান আহমেদ ইমুকে সভাপতি ও নুরুল আজিম রনিকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৪ জনের আংশিক কমিটি দেওয়া হয়। এরপর ২০১৪ সালের ১১ জুলাই ওই ২৪ জনসহ ২৯১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ নগর ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। বিভিন্ন ঘটনায় আলোচিত-সমালোচিত হওয়ার পর ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন নুরুল আজিম রনি। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। পরবর্তীতে তাকেও ভারমুক্তও করা হয়। এক বছর মেয়াদের ওই কমিটি ইতোমধ্যে এক যুগ পার করেছে।

মন্তব্য করুন