নিউজ ডেস্ক

গণঐক্যকে সামনে নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাব: আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল, পেশাজীবি, সুশীল সমাজ, কৃষক ও শ্রমিকের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া গণঐক্যকে সামনে নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো হবে বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইফতার মাহফিল হবে কি হবে না সেটা এখন প্রশ্ন করা হচ্ছে। কোন দেশে আছি চিন্তা করেন, ইফতার মাহফিলে নাকি কৃচ্ছতাসাধন করতে হবে। লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। ব্যাংক খালি হয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষ দুবেলা খেতে পারছে না। আর ইফতার মাহফিলে নাকি কৃচ্ছতাসাধন করতে হবে। এ জন্য আমি বলেছি ইফতার মাহফিল বেশি বেশি করতে হবে। প্রতিদিন করতে হবে। প্রতিটি এলাকায় করতে হবে।

তিনি মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকালে কাজীর দেউরীস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে পবিত্র মাহে রমজান ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, ভিপি হারুনুর রশীদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, তারিকুল ইসলাম তেনজিং।

এতে বিগত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে শুরু করে ৭ জানুয়ারী ডামি নির্বাচন পর্যন্ত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ৭০০ জন কারানির্যাতিত নেতাকর্মী ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।

এসময় আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশে ইফতার মাহফিল নিয়ে প্রশ্ন উঠবে সেটা বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না। গরুর মাংস সরবরাহ করা যাবে না বলেও অনেক জায়গায় নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। চিন্তা করে দেখেন বাংলাদেশ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার সব তো কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এখন আমার খাওয়া দাওয়ার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আমি গরুর মাংস খাবো নাকি ইফতার খাবো সেটাও তাদের সিদ্ধান্ত দিতে হবে কেন?

আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ধর্মীয় অনুভূতি, খাওয়া দাওয়ার মধ্যে হাত দিতে গেলে অসুবিধে আছে। বাংলাদেশের মানুষ এটা গ্রহণ করবে না। আজ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, যার ডাকে বাংলাদেশের মানুষ উজ্জীবিত হয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যার যা ছিল হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল।

আর যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে তাদের বেশিরভাগ লোক ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল সেদিন। যুদ্ধক্ষেত্রে ছিল বাংলাদেশের সৈনিক, যুবক ও মুক্তিকামী যোদ্ধারা। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে শুধু শেষ করেননি। সম্মুখ সারিতে যুদ্ধ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে তরান্বিত করেছেন। আজ কেন মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা হয়েছিল? মূল বিষয় ছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে হানাদার বাহিনী এ দেশকে দখল করেছিল বিধায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল সেদিন। স্বাধীনতার এত বছর পরে সব অধিকার আজ ভুলুন্ঠিত হয়েছে। গত তিন থেকে চারটি নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি।

৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি তো কোনো নির্বাচন হয়নি, হয়েছে গণভোট। বিএনপির পক্ষ থেকে ডাক দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষ যাতে নির্বাচনে না যায়। সেদিন বাংলাদেশের ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ নির্বাচনে না গিয়ে গণভোটে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার ও তার নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রত্যাখান করেছে। সুতরাং এ গণভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ তাদের অবস্থান আবার পরিষ্কার করেছে। তারা এ ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে চায়। তারা তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। গণমাধ্যমের অধিকার ফিরে পেতে চায়। ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ সেদিন জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। পাঁচ শতাংশেরও কম মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

তিনি বলেন, লোকজন যখন আমাকে জিজ্ঞেস করে আপনাদের আন্দোলন কি আবার নতুন করে শুরুহবে? নতুনভাবে আন্দোলন শুরুহওয়ার কিছু নেই। ওই যে ৯৫ শতাংশ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায়নি সেটাও আন্দোলনের অংশ। ওই ৯৫ শতাংশ মানুষ আমাদের আন্দোলনে অংশ নিয়েছে।
সবাই বিএনপির চলমান আন্দোলনে এখনও আছে, সামনেও থাকবে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত। আমরা হালুয়া রুটি খাওয়ার জন্য আন্দোলন করিনি। এমপি বা মন্ত্রী হওয়ার জন্য আন্দোলন করিনি। আমরা আন্দোলন করেছি বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের জন্য।

তিনি বলেন, আন্দোলন চলমান আছে। সে আন্দোলন আজ অনেক বেশি শক্তিশালী। ৭ জানুয়ারির আগে যত বেশি শক্তিশালী ছিল, তার পরে আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে। সব রাজনৈতিক দল আমাদের এ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের সুশীল সমাজ যারা বিগত দিনে মুখ খুলতেন না, কথা বলতেন না তারা কিন্তু সবাই কথা বলছে। এ ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধেও নির্বাচন নিয়ে তারা কথা বলছে।

তিনি বলেন, গণমাধ্যম কর্মীরা এখানে আছেন। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি আগামী দিনে গণমাধ্যমের কি অবস্থা হবে সেটা তারা অনুধাবন করে উনারাও চাচ্ছে এ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হোক। তারাও এ সরকারের বিদায় চায়। বাংলাদেশে আজ একটি ঐক্যমত সৃষ্টি হয়েছে। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে আমি অন্তত স্বাধীনতার পরে দেখিনি। যে ঐক্যমত রাজনৈতিক দল, পেশাজীবি, সুশীল সমাজ, কৃষক ও শ্রমিকের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে সে গণঐক্যকে সামনে নিয়ে আমরা এ সরকারের পতন ঘটাব।

বাংলাদেশে নির্বাচনের সরকার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ক্ষমতা দখলের মধ্যে দিয়ে কেউ যদি মনে করে আন্দোলন আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে তাহলে তারা ভুল। আসলে আন্দোলন আঘাতপ্রাপ্ত হয়নি। আন্দোলন আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে। দেশে ও বিদেশে সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তি আজ ঐক্যমত হয়েছে। বাংলাদেশে একটি নির্বাচনের সরকার না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যহত থাকবে।

আমীর খসরুবলেন, বিদেশীদের অভিনন্দন জানানোর অর্থ মানে এ নয় তারা নির্বাচনকে গ্রহণ করেছে। নির্বাচনের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা, জাতিসংঘসহ সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষ্কারভাবে বলেছে এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয়। দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক থাকবে। ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়গ থাকবে। সেটার সঙ্গে অবৈধ সরকারকে গ্রহণ করার বিষয় এক নয়।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে এখন কোথায় চলে এসেছি? আমি অনুরোধ করবো, ডিএনএ টেস্ট না করে বিএনপির নেতৃত্ব ঠিক করা যাবে না। কারণ নেতৃত্ব এখন অনেক দুর্বল জায়গায় চলে গেছে। তাই আমাদেরকে শক্ত হাতে দলীয় আদর্শের প্রতি বিশ্বাসী লোকদের নিয়ে আসতে হবে। শহীদ জিয়ার আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হলে তার আদর্শিত নির্দেশনা মেনেই দল করতে হবে। কেউ কেউ বলে, আমরা গণতন্ত্রের কথা বলি। অথচ তাদের ডিএনএ টেস্ট করলে দেখা যাবে তারা সবাই বামপন্থী। বামপন্থী দিয়ে বিএনপি হবে না। বিএনপি হবে মধ্যপন্থি, ডানপন্থি ও ইসলামী পন্থি মানুষদেরকে নিয়ে। এর বাইরে বিএনপি হতে পারে না। ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আমরা অনেককে হারিয়েছি। তাই আমরা নতুন পরিকল্পনা শুরু করব। বিএনপিকে আবার স্বয়ংসম্পূর্ণ করবো জাতীয়তাবাদী শক্তির ভালো নেতৃত্বে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, দেশে কোনো নির্বাচনী ব্যবস্থা নেই, সরকার সব ধ্বংস করে দিয়েছে। শুধু রাজনীতি নয়, সমাজের সবকিছু গ্রাস করছে সরকার। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীত তারা।

এস এম ফজলুল হক বলেন, ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করে রেখেছে সরকার। সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাত্রিতে আওয়ামীলীগের অনেক নেতাই পাশর্^বর্তী দেশে চলে গিয়েছিলেন। নেতৃত্বশূন্য এই জাতিকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন আবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। তার মেধা ও সামর্থ্যরে কারণে তিনি দুইটা সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছেন। বীর উত্তম জিয়াউর রহমান ছিলেন জেড ফোর্সের অধিনায়ক। এটাই ইতিহাস। এর বাইরে আর কোন বক্তব্য থাকতে পারে না।

আবুল হাশেম বক্কর বলেন, স্বাধীনতার সকল অর্জন আওয়ামী লীগ সরকার ম্লান করে দিয়েছে। জনগণের অধিকার হরণ করে তারা স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। গণতন্ত্র আজ পুলিশের বুটের নিচে পিষ্ট। সরকারের জনপ্রিয়তা এখন শূন্যের কোঠায়।

আবু সুফিয়ান বলেন, একাত্তরের যুদ্ধ ছিল গণতন্ত্র অর্জনের যুদ্ধ। আজকে দেশে গণতন্ত্র নাই, মানুষের মৌলিক অধিকার নাই। পাঠ্যপুস্তকে বীরদের কথা লিখিত নাই। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে।

এতে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, উত্তর জেলার যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন, ইঞ্জি. বেলায়েত হোসেন, সরওয়ার আলমগীর, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, মাহবুব আলম, এড. মুফিজুল হক ভূঁইয়া, ইকবাল চৌধুরী, জসিম উদ্দিন শিকদার, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, মন্জুর আলম মন্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মীরসরাই সাবেক এমপি ওবায়দুল হক খন্দকারের কন্যা আইরিন পারভীন খন্দকার, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. এনামুল হক, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এড. আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক ছালেহ নোমান, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জি. জানে আলম সেলিম, আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিষ্টার ওসমান চৌধুরী, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, ওলামা দলের আহবায়ক মাওলানা শহীদুল্লাহ্ চিশতী, সদস্য সচিব কারী আবদুল আজিজ প্রমুখ।

মন্তব্য করুন