নিউজগার্ডেন ডেস্ক, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ইংরেজী, শুক্রবার: ঝালকাঠিতে ধর্ষণ মামলার আসামিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আলোচিত হারকিউলিসকে খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করার ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বলেছেন, ধর্ষণ যেমন অপরাধ, তেমনি হত্যাও অপরাধ। শুক্রবার রাজধানীর লালমাটিয়ায় এক স্কুলে মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন মন্ত্রী। এ সময় তার কাছে কথিত হারকিউলিসের বিষয়ে জানতে চান গণমাধ্যমকর্মীরা। মন্ত্রী বলেন, ‘কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। হারকিউলিস নামধারী ধর্ষণে অভিযুক্তদের হত্যাকারী যেই হোক না কেন তাকে খুঁজে বের করা হবে।’ গত ১ ফেব্রুয়ারি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় গত শুক্রবার গলায় চিরকুট ঝোলানো এক সন্দেহভাজন ধর্ষণকারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের গলায় চিরকুটে লেখা ছিল ‘আমি পিরোজপুর ভাণ্ডারিয়ার…ধর্ষক রাকিব। ধর্ষকের পরিণতি ইহাই। ধর্ষকেরা সাবধান- হারকিউলিস।’ নিহত রাকিব একজন মাদ্রাসা ছাত্রীকে দল বেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় ভাণ্ডারিয়া থানায় করা মামলার আসামি ছিলেন। এই মামলার আরো এক আসামির গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার হয়েছে ঝালকাঠিতে। ওই মরদেহেও একটি চিরকুট পাওয়া যায়, যাতে ওই ধর্ষণের কথা উল্লেখ ছিল। হারকিউলিস চরিত্রটি গ্রিক পুরান থেকে উঠে এসেছে। তিনি গ্রিক দেবসা জিউসের ছেলে। তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে বীরত্বের জন্য বিখ্যাত ছিলেন।
ধর্ষণ মামলার আসামিদের গুলি করে হত্যার সমালোচনা আছে। এর পেছনে কে বা কারা তা বের করার দাবিও আছে। সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে এ নিয়ে সমালোচনামূলক নানা লেখাও আছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো হত্যাকাণ্ডই রাষ্ট্র কিংবা সরকারের কাম্য নয়। এই হারকিউলিস লাগিয়ে যারা হত্যাকাণ্ড করছেন আমি মনে করি তারাও ভালো কাজ করছেন না। আইনেই হাতে তাদের সোপর্দ করাই উচিত ছিল।’ ‘এ ঘটনাগুলোর তদন্ত করে আমরা তার রহস্য উদঘাটন করব। কোনো হত্যাকাণ্ডই সরকার সমর্থন করে না। ধর্ষণ যেমন একটি অপরাধ, একইভাবে হত্যাও আরেকটি অপরাধ।’ এ সময় সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলেও বিষয়টি এড়িয়ে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় নিজ বাসায় ঢুকে হত্যা করা হয় সাগর রুনিকে। এই হত্যা রহস্যের উদঘাটন হয়নি গত সাত বছরেও।